×

জাতীয়

শ ম রেজাউল

এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় চার্জশিটে অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম

এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় চার্জশিটে অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু চার্জশিট দেয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। 

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দিতো। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে, উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে।  

আরো পড়ুন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

তিনি বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে সে ক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরো কঠিন পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দূর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট দেয়ার সময় অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

এছাড়া নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা আসামীদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে রেজাউল করিম বলেন, এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা। তা না হলে শুধু এই অপরাধের না, অন্যদের কাছেও একটা ম্যাসেজ যাবে। আমরা সেই সময় ১৩’শ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের প্লান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অননুমোদিতভাবে নেয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেয়া। কাজে আমি আশা করবো সেটা করা দরকার।

ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার পাওয়ার অধিকারের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি বলবো আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম করেছি। কিন্তু আমি একটি মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি। কারণ আসামীরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেয়া হয় না। এই অজুহাতে আসামীরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদের বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় সেটাও কিন্তু এক প্রকার দায়মুক্তি হয়ে যায় তাদের জন্য। 

বিষয়টি নিয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য। শুধুমাত্র আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নই উন্নয়ন না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়গায় আমাদের পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্য দিকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।   

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App