×

জাতীয়

সংসদে চুন্নু

অগ্নিকাণ্ড ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয় কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম

অগ্নিকাণ্ড ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয় কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় না

ফাইল ছবি

অগ্নিকাণ্ডের এক একটা ঘটনা ঘটনার পর ঘটা করে তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু তারপর আর কোনো ফলোআপ থাকে না, এবং দায়সারা রিপোর্ট দেয়া হয়। আবার অনেক সময় অগ্নি নির্বাপণের জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে। 

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এ দাবি জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। 

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন, ২২ জন গুরুতর আহত। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেই ভবনটিকে কোনো রেস্টুরেন্টের অনুমতি ছিলো না। অথচ এই ভবনে ৮টা রেস্টুরেন্ট ছিলো। 

রাজউক ও ডাপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এক তলা থেকে ৭ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন দেয়া ছিলো। তবে তা শুধু অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরা, শো রুম বা অন্য কিছুর অনুমোদন ছিলে না। 

আরো পড়ুন: গণপূর্ত ও রাজউককে আরো সতর্ক হতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেছেন, ভবনের কোনো ধরণের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থাই ছিলো না, কোনো নিরাপত্তা সিঁড়িও ছিলও না। নীমতলি, চকবাজার, বনানীতে একটি টাওয়ারে আগুন ধরে মানুষ মারা যায়। ভবনটির যিনি ডিজাইন করেছিলেন তিনি বলেছেন ডিজাইন করা হয়েছিলো সেখানে বাণিজ্যিক অফিস থাকবে, সেখানে অফিস থাকবে। সেখানে যখন হোটেল করা হয় তখন এই আর্কিটেকচার তিনি ডেভেলপার ও জমির মালিককে বার বার চিঠি দেন যে এখানে এই বিল্ডিংয়ে যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এখানে রেস্তোরা দেয়ার সুযোগ নাই। কিন্তু তারা কথা শোনেন নাই। আমার প্রশ্ন হলো দেশের জনগণ ট্যাক্স দেয় সরকার পরিচালনার জন্য, সরকারের দায়িত্ব হলো দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া। সরকারের ৬টি সংস্থার এই ভবনের তৈরি করার জন্য ক্লিয়ারেন্স লাগে, ক্লিয়ারেন্স দেয়ার পর ভবনের সুপারভিশন নাই। 

চুন্নু বলেন, আমার প্রশ্ন হলো রাজউকের প্রত্যেকটি এলাকায় অফিসার থাকে সেই অফিসার কোথায়। মালিকরা একটা বিল্ডিং করে এক জন্য, ব্যবহৃত হয় অন্য কারণে। এই যে মানুষগুলো মারা গেলো এর জবাব দেবে কে। এর দায় দায়িত্ব তো সরকারের, সরকারি সংস্থার, সরকারি অফিসের। এক একটা ঘটনা হয় আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এই তদন্ত করা হবে, তদন্ত টিম করা হলো তারপর কোনো ফলোআপ নাই। এভাবে তো দেশ চলতে পারে না, সরকারের যে জবাবদিহি করা দরকার, সরকারের এ্যাকশন নেয়া দরকার দায়দায়িত্ব নিয়ে। ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে একটা বিল্ডিংয়ে ১৫টা রেস্টুরেন্ট, অথচ এই রেস্টুরেন্টে কোনো অনুমতি নাই। ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে প্রত্যেকটা রাস্তার পাশে কয়েক’শ দোকান সেই বিল্ডিং বিল্ডিংয়ে রেস্টুরেন্ট, একটারও পারমিশন নাই। 

আরো এরকম ঘটনা ঘটবে সরকার যদি এ বিষয়ে সচেতন না হয়। সরকারের কাছে দাবি করবো দায় দায়িত্ব নিয়ে এই ঘটনার জন্য কারা কারা দায়ী, রাজউক হোক, ফায়ার ব্রিগেড হোক, পরিবেশ হোক তাদেরও বিরুদ্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের আর কোনো ঘটনা না হয় সেই ব্যবস্থা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App