×

জাতীয়

শিশুদের কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম

শিশুদের কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়। এরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়ে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘স্ট্রেনদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিশিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রণীত শিশু আইনের বিভিন্ন ধারায় আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর অধিকার রক্ষাসহ শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নেয়ার কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, পৃথক আদালত কক্ষ, উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে

আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে শিশু বিচার ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে চায়। সেজন্যই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, নতুন সংস্কারকৃত শিশু আদালতসমূহ যাতে সেখানে আনিত শিশুদের যত্ন, পরিচর্যা, সুরক্ষা ও তাদের মতামত নেয়াসহ সব প্রকার শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তবেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। 

ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, ইউনিসেফ সুরক্ষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে, এমন সব শিশুর ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার প্রয়োগে বিশ্বাস করে। আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুদের স্বাধীনতা হরণ এবং আটকাবস্থা শুধু শেষ উপায় এবং যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, প্রকল্প পরিচালক শেখ হুমায়ুন কবীর বক্তব্য দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App