×

জাতীয়

এবিএম মূসা-সেতারা মূসা সম্মাননা পেয়েছেন আজাদীর সম্পাদক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

এবিএম মূসা-সেতারা মূসা সম্মাননা পেয়েছেন আজাদীর সম্পাদক

এবিএম মূসা-সেতারা মূসা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মালেককে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। এবিএম মুসার ৯৩তম ও সেতারা মুসার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ‘আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক বলেন, সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। সত্যকে প্রতিষ্ঠায় অনেক বাধা আসে। এসব বাধা অতিক্রমে সাহস থাকতে হয়। সেই সাহস এবিএম মুসার ছিল। পাকিস্তান আমলে সাংবাদিকতায় অনেক বেড়াজাল ছিল। সে সব উতরে গেছেন এবিএম মুসা। তার নামে  চালু হওয়া  পুরস্কার আমাকে দেয়া হলো তাতে আমি খুবই গৌরবান্বিত। যত পুরস্কার পেয়েছি এটিই আমার কাছে সবচেয়ে সম্মানের।

অনুষ্ঠানে 'গণমাধ্যমে জেন্ডার পরিসর : নারীর নির্মিত এবং নারীর অংশগ্রহণ' শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ড. কাবেরী। দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাবি শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম, প্রেস ইন্সটিউডের সাবেক পরিচালক শীমা মুসলিম,  প্রথম আলোর সংবাদ-পরামর্শক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কুর্‌রাতুল-আইন-তাহ্‌মিনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল্লাহ রিপন, সাংবাদিক শাহানাজ মুন্নি প্রমুখ।

স্মারক বক্তৃতায় ড. কাবেরী বলেন, প্রিন্ট মিডিয়া অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক। নারীর ইমেজ নির্মাণে প্রিন্ট মিডিয়া অনেক সূক্ষ্ম কৌশলীও। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্রগুলো মাল্টি-মিডিয়া সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকেছে। সেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে পাঠকের মন্তব্য ঘরে। যুক্ত হয়েছে অনলাইন পোর্টাল নামের বিভীষিকাময় ক্লিক-বেইট সাংবাদিকতা, যা অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে ধরাশায়ী করার উপায় ও উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সংবাদ পণ্যে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে আলাউদ্দিন নাসিম বলেন, মার্কেট ইকোনমির কারণে সংবাদ পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই সংবাদপত্রের মালিকানার বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে। বর্তমানে সাংবাদিক ও শিক্ষক দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ আওয়ামী লীগের শিক্ষক ও সাংবাদিক, কেউ বিএনপির। এটা হয়তো সাময়িক ফল বয়ে আনতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটা পুরো জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। তাই শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতাকে রাজনৈতিক আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App