সংসদে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
সরকারের চেয়ে কীভাবে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়?
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
সরকারের চেয়ে কীভাবে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয় এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থা আছে, তথ্য আছে, তাহলে কীভাবে সরকারের চেয়ে এরা (সিন্ডিকেট) বড় শক্তিশালী হয়?
তিনি আরো বলেন, আমি বলতে পারি, যদি সিন্ডিকেটকে শক্তহাতে দমন করা না হয়, তাহলে এরা রমজানে পণ্যের দাম বাড়াবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে তিনি এমন প্রশ্ন করেন। এসময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এই সংসদে আগের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটকে হাত দেয়া যাবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান কিছু দেখছি না। সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী হয়ে গেছে, যে তারা প্রতিদিন সকালে মোবাইলের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরা সকালে এসএমএসের মাধ্যমে চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক সবজির দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারাই এতই শক্তিশালী যে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানার পরও কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? কিন্তু কোন অ্যাকশন হয়েছে, কিছু দেখিনি।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, এনবিআর থেকে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। আশা ছিল জিনিসপত্রের দাম কমবে। চিনির জন্য আমাদের সরকারি সংস্থা আছে। একদিন সংস্থাটি হঠাৎ করে দাম চিনির বাড়িয়ে দিয়েছে ২৫ টাকা। পরে অবশ্য সন্ধ্যায় তা স্থগিত করে। কিন্তু এই সুবিধা নিল চিনির সিন্ডিকেট। দাম বাড়িয়ে দিল ১৬০ টাকা কেজি। অথচ পাশের (ভারত) দেশে চিনির দাম কম। সেখানে মাত্র ৭০ টাকা। আর আমাদের দেশে ১৬০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, আমি গ্রামে যাই, রাস্তায় যাই, কোথায় দেখি না দাম কমে। এর কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেট নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে। শনাক্ত করা হয়েছে। দাম কমানোর নিয়ে বা তদারকির জন্য একটি অধিদপ্তর রয়েছে। সেই অধিপ্তরের মহাপরিচালকের সামনে একজন অপরজনকে পেটাচ্ছে, কেন তারা কমদামে বিক্রি করছেন, তাদেরকে মারধর করা হচ্ছে। সরকারের যারা রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ, সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা নিন, তা না হলে জনগণের সমস্যার সীমা থাকবে না।