রমজান মাসে পণ্যের দাম সহনীয় থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইতোমধ্যে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ সম্প্রসারিত করা হয়েছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আশ্বাস দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এতে স্বাক্ষর করেন। 

বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা পণ্যের দাম নিয়েও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন: রমজানে মানবিকতা নিয়ে ব্যবসা করার আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়েনি বলে বিএনপির এক নেতা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫ গুণের বেশি। 

বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপির আমলে মঙ্গা-খরা ও দুর্যোগে না খেতে পেয়ে মানুষকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো, অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করতে হতো। আর সেখানে বাংলাদেশ আজ সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়িয়ে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে মারা যায় না; বরং গৃহহীন মানুষেরও গৃহ ও খাদ্যের সংস্থান করা হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিএনপি নেতারা দেখতে পায় না। তারা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলে না; গায়ের জোরে মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। 

আরো পড়ুন: আবারো বাড়লো চিনির দাম

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির মানসপটে যে জাতীয়তা বোধের উন্মেষ ঘটেছিল, বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সেই আদর্শ ও চেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। যে কারণে তারা সর্বদাই মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতারা সরকারবিরোধী সমালোচনার নামে মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের বাক্যালাপে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। 

কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অংশ নেয়ার মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরেও বিএনপি তাদের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেনি। সরকার নয়, বরং বিএনপিই একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গণতন্ত্র জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসেছে।