×

জাতীয়

অর্থ পাচার বন্ধে সরকার শক্ত না হলে দেশ খালী হয়ে যাবে: চুন্নু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

অর্থ পাচার বন্ধে সরকার শক্ত না হলে দেশ খালী হয়ে যাবে: চুন্নু

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সরকার শক্তভাবে হ্যান্ডেলিং না করলে দেশ খালী হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিদেশে অর্থ পাচার সম্পর্কে চুন্নু এ সব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে ৮০ ভাগ অর্থ পাচার হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা প্রতিষ্ঠান আছে সে প্রতিষ্ঠানটা হলো বাংলাদেশ ফাইনান্সসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তারা একটা সংবাদ সম্মেলন করে গত দুই তিন দিন আগে। সেই সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান তিনি বলেন তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২২-২৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন ছিলো, ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন এই লেনদেনের মাধ্যমে বিদেশে যে টাকা পাচার হয়, মানিলন্ডারিং তার ৮০ ভাগ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। আরো বলছে একবার মানিল্ডারিং হয়ে গেলে এটাকে আর ফেরত আনার কোনো সুযোগ নাই। তিনিই বলছেন এই বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে যদি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া না হয় তাহলে তার কিছু করার মতো ক্ষমতা নেই। কারণ পাচার করা টাকা আনার একটা মাত্র দৃষ্টান্ত আছে। তা হলো সিঙ্গাপুর থেকে মৃত কোকো রহমানের টাকা। আর কোনো টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয় নাই, এ কারণে যে দেশ থেকে টাকা যে সব দেশে যায় তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। সিঙ্গাপুর, দুবাই, কানাডা, ইউএসএ, ইউকেসহ বিভিন্ন দেশে এমনকি আমাদেরও একজন সাবেক মন্ত্রী ব্লুমবার্গে এসেছে তার ২৬০টি বাড়ি আছে বিদেশে। আমরা এগুলো বিশ্বাস করতে চাই না, এই নিউজ আসছে, পাচার হচ্ছে এগুলোর বিষয়ে এর আগেও অনেকবার সংসদে বলেছি। সাবেক অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

আরো পড়ুন: বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা নেই

চুন্নু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩’শ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম। সব থেকে বেশি অনিয়ম হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমান সরকার যদি শক্তভাবে এইগুলো হ্যান্ডেলিং না করে তাহলে তো দেশ খালী হয়ে যাবে, ব্যাংক তো খালী হয়ে গেছে, ব্যাংকের মাধ্যমেই যায়। এইগুলি দেখার দায়িত্ব কার, আমরা কোথায় যাবো। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী যদি তারা এইগুলো না দেখেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তারা চুপচাপ বসে থাকে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হয় তারাই বলছেন, তাদের রিপোর্ট, তারা কি করেছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৫ বছরে কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। 

হাসপাতালে অ্যান্ড্রোসকপি করতে গিয়ে দেখলাম নেই। তাকে ঢোকানো হলো তারপর বলা হলো মারা গেছে। খাতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। আমার মনে হয় সব এলোমেলো হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, প্রধানমন্ত্রী কঠোর হন। মানুষ এখন ভাবছে সরকারি দল, বিরোধী দল কি করে, এর জবাবদিহি কোথায়। এ বিষয়ে যদি শক্ত না হয় সরকার তাহলে আমাদের যাওয়ার তো জায়গা নাই। এই সব বিষয়ে সরকার কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেবেন, নিয়ন্ত্রণ করবেন এই দাবি করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App