পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ৩ সদ্যসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে পানি সম্পদ খাতসহ স্মার্ট অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০০৫ সালে পানি সম্পদের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। পরে উভয় দেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ হ্রাস এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একাধিক বাস্তবসম্মত সহযোগিতা করেছে।

বাংলাদেশ ও চীন বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার।’

প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেন। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন খাতে চীন আরো বেশি বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করছে। পানিসম্পদ ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের মার্চের শুরুতে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে একটি ডিজি পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।’