×

জাতীয়

রমজানে ডিম-মুরগির দাম কমাতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

রমজানে ডিম-মুরগির দাম কমাতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তাদের কাছে ন্যায্য দামে ডিম-মুরগি তুলে দিতে পরিবহনের জন্য মুরগি ও ডিমের গাড়ির ক্যারিয়ারকে বিআরটিএ থেকে অনুমোদন দেয়া, রাস্তায় পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বিপিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে এসময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর ডিম-মুরগি, পোলট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা পরিবহন করার জন্য বিআরটিএ থেকে গাড়ির অনুমোদন থাকলেও প্রান্তিক খামারিদের ডিমের গাড়ির ক্যারিয়ার ও মুরগি পরিবহন করার জন্য মুরগির খাঁচার বিআরটিএ থেকে অনুমোদন দেয়া হয় না। বিআরটিএ থেকে মুরগির খাঁচা ও ডিমের গাড়ির অনুমোদন না দেয়ায় একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ডিম মুরগির গাড়িগুলো ঠিকই রাস্তায় চলছে। 

এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, থানার চেকপোস্ট, পুলিশের সারাদেশের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা সবাইকে ম্যানেজ করে মাসিক চাঁদা দিয়ে চলতে হয়। স্থানীয় চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয় এবং মাসিক চাঁদা দিয়েও গাড়িগুলো দিনের বেলা চলাচল করতে না পারার কারণে ডিম ও মুরগি পরিবহন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং রাতে চলাচল করার কারণে এই গাড়িগুলো ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে, যার জন্য আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এতে ডিম ও মুরগি পরিবহন খরচ বেড়ে যায় এবং ডিম মুরগির দামও বেড়ে যায়।

রমজানের আগে ডিম মুরগির দাম বাড়ার পেছনে কারণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করপোরেট গ্রুপের সকল ধরনের মুরগির বাচ্চা আমদানি অনুমতি থাকলেও করপোরেট সিন্ডিকেটের যোগসাজশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রান্তিক খামারিদের মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। প্রান্তিক খামারিদের মতামত না নিয়ে শুধু করপোরেট সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চার দাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিএলএস দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৪৯ থেকে ৫২ টাকা।

করপোরেট গ্রুপগুলো মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে তারা তাদের চাহিদা মত নিজস্ব খামারে বাচ্চা তুলেছেন এবং কন্টাক্ট খামারিদের বাচ্চা দিয়েছেন। অবশিষ্ট বাছাই করা নিম্ন মানের বাচ্চাগুলো অতিরিক্ত দামে তাদের পরিবেশকের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রয় করেন। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিদের। করপোরেট গ্রুপগুলো মুরগির বাচ্চা এবং মুরগির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে যার কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। এখন বাজারে যে পরিমাণ মুরগি আছে এগুলো বেশির ভাগ কোম্পানির নিজস্ব উৎপাদন এবং তাদের কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মুরগি। খামারিদের মুরগি বাজারে আসলে ম্যাজিকের মত দাম কমে যায়। প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে না পারলে কখনই ডিম মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বাপ্পী কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, পোলট্রি উদ্যোক্তা কাউসার আহমেদ, চুক্তিভিত্তিক খামারি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App