×

জাতীয়

বিদেশের কারাগারে আটক আছেন ৯ হাজার বাংলাদেশি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম

বিদেশের কারাগারে আটক আছেন ৯ হাজার বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহতি

দেশের বাইরে বিভিন্ন কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ প্রবাসী আটক আছেন বলে তথ্য দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বহির্বিশ্বের কারাগারে আটকদের মধ্যে পর্তুগালে ১ জন, মিশরে ৬ জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কোরিয়ায় ৬ জন, শ্রীলঙ্কায় ৩ জন, কাতারে ৪১৫ জন, লিবিয়ায় ৯ জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনের বেইজিংয়ে ১৮৪ জন, চীনের কুনমিংয়ে ৭ জন, আবুধাবীতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, সৌদি আরবে ৫ হাজার ৭৪৬ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, আলজেরিয়ায় ১জন, থাইল্যান্ডে ৪ জন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রীসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, তুর্কিতে ৫০৮ জন, মায়ানমারে ৩৫৮ জন, জাপানে ২ জন এবং জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছেন।

বিদেশের কারাগারে আটক প্রবাসীদের মুক্তির লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২২৬ জন আটক বাংলাদেশীকে লিবিয়া থেকে, ৫১ জন বাংলাদেশীকে ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের জেলখানা থেকে প্রর্ত্যাবাসন করা হয়েছে। এছাড়াও ভারত, মায়ানমার এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেই জেলখানা থেকে আরো প্রায় ১ হাজার ৯৫০ জন বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ নিয়মিতভাবে কারাগারে আটক বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দ্রুত মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করেন। বিভিন্ন দেশে ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগে আটক প্রবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ দ্রুততার সাথে সুষ্ঠভাবে তদন্তের সংশ্লিষ্ট থানা ও পাবলিক প্রসিকিউশন অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, জেলখানায় আটক প্রবাসীকর্মীদের আদালত কর্তৃক বিচারকালীন সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি বা আইন সহকারী কোর্টে উপস্থিত থেকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করে থাকে। বিভিন্ন অভিযোগে আটক শ্রমিক বা প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের চাহিদা মোতাবেক সংস্লিষ্ট দেশের আইনজীবী-ল’ ফার্মের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে। কারাগারে আটক শ্রমিক বা প্রবাসী কর্মীদের বিশেষ ও সাধারণ ক্ষমার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়। কারাগারে আটক শ্রমিক-প্রবাসী কর্মীদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে তাদেরকে অতিদ্রুত দেশে প্রেরণের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দণ্ড মওকুফের জন্য বাদীদের সাথে দূতাবাসসমূহ সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে মার্জনার অনুরোধ সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র প্রেরণ করে থাকে। দৃতাবাস প্রবাসে জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের সেবাসমূহ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং বিচার বিভাগের সাথে নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫১টি বিদেশি দূতাবাস রয়েছে। 

নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রাথমিকভাবে দূতাবাসগুলো ভাড়া করা ভবনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে ৩২টি মিশনের জন্য জমি থাকা সাপেক্ষে নিজস্ব ভবন নির্মাণ এবং জমিসহ তৈরি ভবন ক্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের ১৪টি দেশে ১৭টি দূতাবাসের নিজস্ব ভবন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App