স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন বলে একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য ইতোমধ্যে ৫ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। এটি চলমান রয়েছে, এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারো নতুন করে প্রকল্প নেয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এসময় স্পিাকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এর আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, প্রতিটি এমপি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও থোক একটা বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে কি কোনো থোক বরাদ্দ সরকার দেবে কিনা? এর জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম উক্ত জবাব দেন।

চলতি অর্থবছরে পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এলজিইডির আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও ২১ হাজার মিটার ব্রিজ, কালভার্ট নির্মালে পরিকল্পনা রয়েছে।

 তাজুল ইসলাম বলেন, এলজিইডি'র আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১৯হাজার  মিটার ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন/পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ/সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ/সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন চলমান আছে, যা চলতি বছর ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।