×

জাতীয়

সংসদে লতিফ সিদ্দিকী

বায়ুদূষণে ঢাকা এখন এক নম্বরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

বায়ুদূষণে ঢাকা এখন এক নম্বরে

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আজকে ঢাকা হলো প্রথম বায়ু দূষণের শহর, দিল্লী হলো দ্বিতীয় এবং মুম্বাই হলো তৃতীয় বায়ু দূষনের শহর। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানান এ বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব ওর্ডারে দাড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আজই প্রথম তিনি বক্তৃতা দিলেন। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী চাঁদাবাজির সমালোচনা করে বলেন, সমবেতভাবে এমপিরা এটা বন্ধ করতে চান, এটা ভালো কথা। কিন্তু এ দেশে তো আগে এই চাঁদাবাজি ছিল না। এটা কারা কীভাবে আনলো।

তিনি বলেন, বায়ু দূষণ হয় পরিবেশ দূষণের কারণে। আমি ভীষণভাবে উৎকন্ঠিত, আমরা হুর খেয়ে ধুর নিয়ে নাচানাচি করছি। এসময় তিনি পত্রিকায় ঢাকার বায়ু দূষণের ওপর একটি নিবন্ধ উল্লেখ করে বলেন, বায়ু দূষণ হয় পরিবেশ দূষণের কারণে। আমাদের দেশ শুধু নয় দক্ষিণ এশিয়াও পরিবেশ দূষণে আক্রান্ত। গত শুক্রবার একটি পত্রিকায় লিখেছিল ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকার বাতাস সবচেয়ে বেশী অস্বাস্থ্যকর। আর  শনিবার বলেছে ঢাকার বায়ু আজ দুর্যোগপূর্ণ, বাঁচতে কি করবেন। সেখানে বায়ু দূষণের এক মাত্রা বর্ণনা করা হয়েছে। 

সেখানে আইপিইউআরএলের (নিউজিল্যাণ্ডের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান) তরফে স্কোর ধরা হয়েছে ৫১-১০০ হলে তাকে মাঝারি, গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু। ১০১-১৫০ পর্যন্ত সংবেদনশীল অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১-২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু, স্কোর ২০১-৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু হিসেবে ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার উর্দ্ধে হলে তাহলে দুর্যোগ বা ঝুকিপূর্ণ ধরা হয়। বাংলাদেশে গতকাল ছিল ২২৭, আজকে সেটা দাঁড়িয়েছে ৩৯৪তে। 

তিনি বলেন, চিকিৎসকদেরে পরামর্শ হলো বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে, আর ঘরে থাকলে দরজা জানালা বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। তাহলে আমাদের কিছু করার আর অবস্থা নাই। দূষণের ঝুঁকিতে সংবেদনশীল গোষ্ঠীরা হলেন বয়স্কা, অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুরা। এসময় তিনি স্পিকারের মাধ্যমে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরো সতর্ক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, এই পরিবেশ বা বায়ু দূষণের কারণ হলো- যানবাহনের ধোঁয়া, কলকারকাখান ধোঁয়া, নির্মাণ কাজের দূষণ ও ইট ভাটার ধোঁয়া। এগুলো বন্ধ করতে আমি বলছি না, এগুলো পরিবেশ সম্মত করলে আমরা বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে বলবো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App