×

জাতীয়

সংসদে মুজিবুল হক চুন্নু

চবির ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভাগাভাগি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

চবির ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভাগাভাগি
  • ভর্তি ফরমের টাকা কেন ফান্ডে জমা হয় না

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এবারের সেশনে ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভিসি, প্রভিসি, শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ফাণ্ডে জমা হয়নি। প্রতি বছর যদি এরকম হয় তাহলে দেশটা কীভাবে চলছে? ভাবতেই পারি না। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে (মহিবুল হাসান চৌধুরী- নওফল) বলবো এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটা একটি গুরুতর অপরাধ অন্যায়। এটা দেশের মানুষকে আপনি জানান। আমি আপনার কাছে জানতে চাই একি করে সম্ভব? 

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু পত্রিকার একটি খবরের ওপর সংসদে দৃষ্টিপাত করে এসব কথা বলেন।

চুন্নু বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর (২০২৪) ভর্তি  ফরম বিক্রি করে ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। সার্ভিস চার্জসহ মোট আয় ২৩ কোটি টাকা। গত বছর এবার আয় ছিল ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।  ফরম বিক্রির এই টাকা উপাচার্য, ইউ উপাচার্যসহ শিক্ষকরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। ছাত্রলীগও অতীতের মত এই টাকা ২ শতাংশ ভাগ চেয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আখতারের দ্বায়িত্ব ইতোমধ্যে ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে। যে কোনো সময় উপাচার্য পদে পরিবর্তন আসতে পারে। ছাত্রলীগের ধারণা উপাচার্য পরিবর্তন হলে এই  ফরম বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই তারাও টানা সংগ্রামে মনোযোগী হয়েছে। 

চুন্নু আরো বলেন, জাবির এক দ্বায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চাবির উপাচার্য শিরীন আখতারের নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে নতুনভাবে তিনি আর দ্বায়িত্ব পাচ্ছেন না এটা চূড়ান্ত। প্রশাসনও তাই ছাত্রলীগের সঙ্গে ভাগ-বাটোয়ারার কোনো আপোষে যাচ্ছে না। উপাচার্য পদ নিশ্চিত না হলে উপাচার্য শিরীন আখতার আর টাকা দিতে নারাজ। তিনি বলেন, প্রতিবছর ভর্তির টাকার ভাগ নেবার জন্য ছাত্রলীগ এসময় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত রাখে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। 

তিনি বলেন, ২১ কোটি ৯১ লাখ ভর্তি পরীক্ষার টাকার ২ শতাংশ ছাত্রলীগ চায়, সে টাকা দাঁড়ায় ৪৩ লাখ। তারা বলছে আরো ৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে তাদেরকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। চবিতে ভর্তি পরীক্ষার টাকা কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাণ্ডে যায় না- মারাত্মক কথা, এটা কোন দেশ। এবারো ২১ কোটি ৯১ লাখ, গত বছর ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা,  এত টাকা বিশ্ববিদ্যােয়ের একাউন্টে জমা হয় না, এটা আইনের চরম লঙ্ঘন, চরম অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই  ফরম বিক্রির এই কোটি কোটি টাকা ভিসি, প্রভিসি, শিক্ষক, ছাত্র সংগঠন ভাগাভাগি করে নেবে, জানি না স্পিকার দেশটা কীভাবে চলছে। ভাবতেই পারি না। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটা একটি গুরুতর অপরাধ- অন্যায়। এটা দেশের মানুষকে আপনি জানান। আমি আপনার কাছে এটা কীভাবে সম্ভব, জানতে চাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App