×

জাতীয়

সংসদে চুন্নু

শব্দ দূষণে রাজধানীবাসী অতিষ্ঠ, আইন বাস্তবায়নের আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম

শব্দ দূষণে রাজধানীবাসী অতিষ্ঠ, আইন বাস্তবায়নের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম ও টেকসই মেগাসিটি এই ঢাকা আজ শব্দ ও বায়ু দূষণে অতিষ্ঠ। দেখে মনে হয় এখানে কোনো আইন-কানুন নেই, শহরটির কোনো মা বাপ নেই। মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ ডেসিবেলে শব্দ করছে হাইড্রোলিক হর্ণ, নির্মাণকাজ, ড্রিল মেশিন। যার ফলে নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রকম রোগ। 

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও পুলিশসহ সবাইকে শব্দ দূষণ থেকে রাজধানীবাসিকে বাঁচাতে আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনসংখ্যা, সমস্যার অন্ত নেই। যানজট, জলাবদ্ধতা, বায়ুদূষণ, শব্দদুষণে নাকাল রাজধানীর বাসিন্দারা। এর মধ্যে দিন দিন শব্দ দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান যানবাহনে শব্দদুষণ, মাইকের উচ্চশব্দ, এসব শব্দদুষণের কারণে মানুষের জীবযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এই শব্দ দূষণের নেই কোনো আইন-কানুন। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষ এই শব্দ দূষণের ভুক্তভোগী। শিশু ও বয়স্ক রোগীরাও এই শব্দ দূষণের অভিঘাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশরা শব্দদুষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ , ড্রিল মেশিন ইত্যাদি এই উচ্চ শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ।

আরো পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণ উচিত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

চুন্নু বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে শব্দ দ্বিগুণ ডেসিবেল হওয়ায় হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, কানে কম শোনা ইত্যাদি রোগের জটিলতা বাড়ছে। ১২০ ডেসিবেল শব্দ গর্ভবতী, নারী-শিশু রোগীসহ অনেকের ব্যাপক ক্ষতি করছে, অনেক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শব্দদুষণের কারণে প্রায় বধির হয়ে গেছে। মোটর সাইকেলে আজকাল হাইড্রোলিক হর্ন বাজায়, সব যানেই হাইড্রোলিক হর্ণ বাজে, মনে হয় দেশে আইন নেই। এসময় তিনি সড়ক মন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী এবং ট্রাফিকপুলিশকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শব্দ ও বায়ুদুষণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাতে ৪৫ ডেসিবেল, দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেল থাকার কথা। হাসপাতাল এলাকায় থাকবে ৪০-৫০ ডেসিবেল। শব্দ দূষণ আইন নয়, পরিবেশ আইন ১৯৯৫ সালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে, চালক কখন হর্ন বাজাবে তাও লাইসেন্স দেবার সময় বলা আছে, যার বাস্তবে কোন মিল নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App