×

জাতীয়

সামাজিক ব্যাধি দূর করতে গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকা দরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

সামাজিক ব্যাধি দূর করতে গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকা দরকার

জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি, যৌন হয়রানি, পরিবেশদূষণ, কিশোর গ্যাং কালচারসহ সামাজিক ব্যাধি দূর করতে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।

‘উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের অংশীদারত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাগিচা রেস্টুরেন্টে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন এডাবের চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন। বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এডাবের পরিচালক একেএম জসীমউদ্দিন।

নবনির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছ। তবে জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বার বার পরিবর্তনশীল শিক্ষা কার্যক্রম, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি, হয়রানি, পরিবেশ দূষণ, মৌলবাদের বিস্তার, মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং কালচার, মূল্যবোধের অবক্ষয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি প্রকট আকার ধারণ করছে।

চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন বলেন, যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা মানববন্ধন দেখি না, প্রতিবাদের সুর দেখি না। এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে দেশ ও জাতি গঠনে লাগামহীন দুর্নীতি রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্রের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়ন সাংবাদিকতার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। মিডিয়া হাউজকে কর্পোরেট প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করার উপর জোর দেন। সামাজিক উন্নয়নে এনজিও, গণমাধ্যম ও এডাব সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, গণমাধ্যম এখন মালিকের দুর্নীতির লুকানোর ঢাল। আমরা চাকরিই করি। মালিকের তোষামোদি রিপোর্ট করলেই প্রমোশন হয়। 

সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল কবির রুপম বলেন, সীমান্ত দিয়েই মাদক আসে, তখন সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে প্রেম থাকে। এরপর দেশে মাদক প্রবেশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু তাদের সঙ্গে মাদক কারবারিদের একটি সমঝোতা তৈরি হয়ে যায়। এটার সঙ্গে  জনপ্রতিনিধিরাও যুক্ত হয়ে যায়। তাই সামাজিক প্রতিরোধ ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। মানুষকেই এর বিরুদ্ধে ‘তীব্র চিৎকার’ তো করতে হবে। 

গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুসহ  প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App