জাপানি মা নাকানো এরিকোর করা মামলায় রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে জাপানি ৩ শিশুর মধ্যে মেজ মেয়ে লাইলা লিনা থাকবে বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে। বাকি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে, বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে মা নাকানো এরিকো জাপানে যেতে পারবেন।

আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আরো পড়ুন: এক মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সব কোচিং সেন্টার

এর আগে, ৩১ জানুয়ারি ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে অবস্থান করা জাপানি দুই শিশুর মধ্যে ছোট মেয়ে (৩ মেয়ের মধ্যে মেজ) লায়লা লিনা (৯) তার বাবার কাছে থাকতে চায় বলে সাংবাদিকদের জানায়।

লায়লা লিনা জানায়, আমি বাবাকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে থাকতে চাই। মায়ের কাছে যাব না।

বাবা ইমরান শরীফ বলেন, লায়লা লিনা আমার কাছে থাকতে চায়। মায়ের কাছে যাবে না। কিন্তু ওর মা ওর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে ওকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ও যেতে রাজি না।

এদিকে বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাকে (১১) নিয়ে আদালতে এসেছেন মা নাকানো এরিকো। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমানের আদালতে নাকানো লায়লা লিনাকে মায়ের হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন: যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে আজ

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি বংশোদ্ভূত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, নাবালক বা নাবালিকা হেফাজত নির্ণয়ে তাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হবে এ বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল বিষয় তাদের বাবা নাকি মায়ের কাছে নিশ্চিত হবে মামলাটি নিষ্পত্তিতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জাপানি দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।