×

জাতীয়

বন, নদী রক্ষায় স্পেশাল গ্রীণ গার্ড তৈরির দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০১ পিএম

বন, নদী রক্ষায় স্পেশাল গ্রীণ গার্ড তৈরির দাবি

হেরিটেজ, অভয়ারণ্যগুলো, নদী, সুন্দরবন সহ পরিবেশ রক্ষায় গ্রীণ গার্ড (সবুজ পুলিশ) তৈরির দাবি তুলেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)। পরিবেশবাদী এই সংগঠনের দাবি, পুলিশ ফোর্সের ভিতরে বিশেষ 'গ্রীণ গার্ড' (সবুজ পুলিশ) তৈরি করতে। দেশের হেরিটেজ ও অভয়ারণ্যগুলো, নদী, সুন্দরবন সহ বিশেষ বিশেষ জায়গায় থাকবে গ্রীণ গার্ড। কিন্তু এই গ্রীণ গার্ড শুধু পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে তৈরি করলে হবে না। কারণ তারা ঘুষ নেয়। তাই আমাদের নাগরিকদের মধ্য থেকে সবুজ সৈনিকও তৈরি করতে হবে। তারা যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষা করবে।

'হাতিমারা কৃত্রিম জলাশয় ও চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য' বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এসব কথা বলেন। 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ধরার সহ-আহ্বায়ক শারমিন মুরশিদ, মুল বক্তব্য পাঠ করেন চুনতি রক্ষায় আমরার সমন্বয়ক সানজিদা রহমান। ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, সদস্য আব্দুল করিক হিম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। 

আরো পড়ুন: বিএনপিকে ভুলের খেসারত দিতে হবে

সংবাদ সম্মেলনে শারমিন মুরশিদ বলেন, বন বিভাগ সরকারি চাপকে ভয় পায়। ব্যবসায়ীদের ভয় পায়। তারা ভয়ে থাকেন। কিন্তু তারাই বনরক্ষার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া। তারা বন দখল করে। তাদের সহযোগীতা করে সাধারণ মানুষের একটি অংশ। কারণ তারা (গরীব) বাঁচতে চায়। 

চুনতি হাতিমারা কৃত্রিম হ্রদে বাঁধ কাটার ঘটনাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঁধ কেটে ভালো কাজ করেছে বন বিভাগ। এই কাজ আরো আগে করার প্রয়োজন ছিল। অন্যদিকে বাঁধ কাটার ফলে কৃষি জমি ধ্বংস হলো। আগে এসব বিষয়ে পরিকল্পনার দরকার ছিল। ভেসে গেলে। উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় মাস্তান, স্থানীয় প্রভাবশালীর উপর আমাদের শাসন ব্যবস্থা নির্ভরশীল। কেউ গরিবের কথা ভাবছে না। বন ও ভূমি দখলে গরীবদের ব্যবহার করা হয়। মাঝেমধ্যে দুই পয়সা আয় করে, আবার বানের জলে গরীবরাই ভেসে যায়।

আরো পড়ুন: ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

চট্টগ্রামের বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। মূল বক্তব্যে এই বনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, প্রয়োজনাতিরিক্ত পাহাড় কেটে রেল লাইন স্থাপন, বনের ভেতর অবৈধ বসতি প্রতিষ্ঠা, হাজার হাজার একর জমির বন্দোবস্ত ও বেআইনি কেনাবেচা, পাহাড় কাটা, প্রাকৃতিক বন ও বন্যপ্রাণী নির্বিচারে নিধন করে অননুমোদিত ইটভাটায় সরবরাহ করা এবং সামাজিক বনায়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সেখানে নেতিবাচক প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে ঠেলে দেয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এমনকি হাতির চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ও হাতি মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে এবং বনের বিশাল এলাকাজুড়ে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করার মত গর্হিত কাজ চুনতিতে ঘটেছে।

সরকারকে জন-সম্পৃক্ত ও বিজ্ঞানভিত্তিক একটি সমন্বিত পরিকল্পনার স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী নির্মোহ এবং স্বচ্ছ বাস্তবায়নের মাধ্যমে চুনতি রক্ষায় দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন। সেইসঙ্গে, ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পদক্ষেপসমূহের ন্যায্য বিশ্লেষণ ও দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিও জানানো হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App