×

জাতীয়

বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার সীমান্তে চলমান দেশটির আভ্যন্তরিন সংঘাতের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল জামান সিদ্দিকী। তাই যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।

তিনি জানান, বিজিবি হেফাজতে মোট ২৬৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক আছেন। এরমধ্যে বিজিপি, কর্মকর্তা, নারী এবং শিশু আছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

এদিকে ভরা পর্যটন মৌসুমে প্রচুর মানুষ সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করছে। সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত। আমরা সতর্ক আছি। কিছু গোলাগুলি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে। এখানে প্রাণহানি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বিষয়টি সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন, বিজিবি হেফাজতে মোট ২৬৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক আছেন। এরমধ্যে বিজিপি, কর্মকর্তা, নারী এবং শিশু আছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

সংঘাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে তাদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। সোমবার কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো আমরা সতর্কভাবে দেখছি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এ ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন।

বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App