×

জাতীয়

পদ্মা সেতুতে দৈনিক গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম

পদ্মা সেতুতে দৈনিক গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু (পদ্মা নদীর উপর ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু)। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং ২০২২ সালের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। উদ্বোধনের পরে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। 

উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন  পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন: বাধা মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য দেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া বছরে শ্রম শক্তির প্রায় ১.০৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। সারাদেশে ০.৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস ঘটেছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি: দক্ষিণাঞ্চলে ২.৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১.২৩ শতাংশ, এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে, বাণিজ্য ও শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক জীবন চিত্র পাল্টে দিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুন: সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন

এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে জনসাধারণের আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App