পরিবেশমন্ত্রী
পলিথিন ব্যবহারে ৬ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায়
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫১৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২০৭ টি মামলায় ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বনও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরুপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: পরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর হেল্পলাইন ৩৩৩-৪ এর উদ্বোধন
সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ২১ জুন ২০২১ তারিখে উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলাকে কোস্টাল এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে উক্ত এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্য্যার এবং ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এ বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশো। বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পলিথিন বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- যার মধ্যে অন্যতম নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিক্ষে নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে আওতায় জুলাই ২০১০ হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানাসমূহ উচ্ছেদ বা কারখানার মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে।