×

জাতীয়

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ইনসেনটিভ বন্ধ করলে পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০২ পিএম

ইনসেনটিভ বন্ধ করলে পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে

ইনসেনটিভ বন্ধ করে দেওয়ায় পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আগামী জুন মাস পর্যন্ত রহিত করার অনুরোধ জানান।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। পোশাক শিল্পের ইনসেনটিভ  তারা বন্ধ করেছে। এই পোশাক শিল্প আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকা শক্তি। বর্তমানে যেখানে আমাদের ডলার সংকট এবং রপ্তানি আয়ের উপর চাপ পড়েছে সেই মুহুর্তে এই সার্কুলারটি আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। 

যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যেও সঙ্গে আমি একমত। হঠাৎ করে যদি সাবসিডি বন্ধ করা হয়, ইনসেনটিভ বন্ধ করা হয় পোশাক খাত অসুবিধার মধ্যে পড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে ইতিমধ্যে আগামী জুন পর্যন্ত সাবসিডি দেবো বলে একটা প্রজ্ঞাপন আছে। সেইটার উপর ভিত্তি করে পোশাক শিল্পের যারা আছেন তারাই এই জুন পর্যন্ত কন্ট্রাক করেছেন। 

এই কন্ট্রাক করার সময় এই সাবসিডিকে তারা হিসেবের মধ্যে নিয়েছেন। এখন যদি এইটা বন্ধ করা হয় তাহলে এই পোশাক শিল্পের যারা আছেন তারা প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়বে। আমাদের স্বীকার করতে হবে এই পোশাক শিল্প যেটার উপর আমরা নির্ভর করছি, ৮০ ভাগ রপ্তানি এখান থেকে আসছে। সেখানে অনেক দিক থেকে চাপ আসে একদিকে মজুরি। কিছু দিন আগে মজুরি বড়ানো হয়েছে। 

যেটা করা উচিত এবং করা হয়েছে সেটা দিতে হবে। তার সঙ্গে জ্বালানি, গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো দ্বিগুণ করার পড়ে গ্যাস সাপ্লাইয়ের কোনো অসুবিধা হবে না। নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সাপ্লাই দেয়া হবে, সেইটা কিন্তু বর্তমানে হচ্ছে না। এগুলো আছে, সঙ্গে বিদেশে যারা আমাদের পোশাক আমদানি করে সেখানে ডিমান্ডের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে ডিমান্ড আস্তে আস্তে কমছে। 

এইগুলো মিলে এই সার্কুলারের কারণে আমি মনে করি পোশাক শিল্প অসুবিধার সম্মুখীন হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই জন্য আমি অনুরোধ করবো অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশে ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে যেনো এই সার্কুলারটি রহিত করেন। অন্ততপক্ষে জুন পর্যন্ত এই সাবসিডি দেয়ার কথা ছিলো সেই সাবসিডি যেনো দেয়, জুনের পর থেকে গ্রাজুয়ালি যদি কমান সেটা আমি মনে করি পোশাক শিল্প মেনে নিতে বাধ্য। কারণ আমরা ডাব্লিউটির অধীনে ২৬ এর পরে কোনো রকম সাবসিডি দিতে অপারক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App