বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। 

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নিজ নিজ সদরদপ্তরে মতবিনিময় করেন তারা। এ সময় ক্র্যাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান খান, সহ-সভাপতি শাহীন আবুদল বারী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজিসহ নবনির্বাচিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিআইডির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সংস্থাটির ডিআইজি (এইচআরএম ও ঢাকা মেট্রো) মো. মাইনুল হাসান, অতিরিক্ত ডিআইজি (সেন্ট্রাল ক্রাইম) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (খুলনা বিভাগ) মো. কামরুল আহসান, বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির মামলায় অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মামলাটি তদন্ত করছি। তদন্ত মোটামুটি ভালো পজিশনে আছে। এ সংক্রান্ত নিউইয়র্কে একটি মামলা হয়েছে। নিউইয়র্কের ওই মামলার বিচারক ইতোমধ্যে শুনানি শেষ করেছেন। 

ছবি: এসবি প্রধানের সাথে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি

তিনি বলেন, আমরা আমাদের মামলার চার্জশিট দিলে কি ওই দেশ থেকে আসামি ধরে আনতে পারব? ইন্টারপোলের সাপোর্ট ছাড়া তো আমরা আসামি ধরে আনতে পারব না। আমরা যেটা চাইবো ফান্ডটা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়। যেটা পেয়েছি নেগলেজেন্সি আছে। 

মতবিনিময়কালে সিআইডি প্রধান ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, পুলিশ-সাংবাদিক পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। উভয়ের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে যেকোনো অপরাধের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব। সিআইডি প্রধান নবনির্বাচিত কমিটির ভবিষ্যৎ পথচলার সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন ও অপরাধজনিত যেকোনো তথ্য সিআইডিকে অবহিত করার পরামর্শ দেন।