×

জাতীয়

বাঙালি সংস্কৃতির জয়গানে মুখর পুরান ঢাকার পৌষমেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

বাঙালি সংস্কৃতির জয়গানে মুখর পুরান ঢাকার পৌষমেলা

ছবি: ভোরের কাগজ

বাঙালি সংস্কৃতির জয়গানে মুখর ছিল পৌষমেলার দ্বিতীয় দিনও। রাজধানীর ওয়াইজ ঘাটের পুরান ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে এ উৎসব চলছে। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এ মেলা শুরু হয়। সকালে পিঠা উৎসবের সঙ্গে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। যেখানে একক এবং দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শিল্পীরা বাঙালি সংস্কৃতির জয়গানে মুখর করে তোলেন।    

সকালে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস, সমস্বর, আদন, সপ্তরেখা ও ফোক বাংলা। একক সংগীতে অংশ নেয় প্রলয় সাহা, ফেরদৌসি কাকলী, আবিদা রহমান সেতু, রত্না সরকার, এস এম মেজবাহ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, মীরা মণ্ডল, মনি গোমেজ ও নির্ঝর দাসের গল্পে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বহ্নিশিখা শিশুদল। 

দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন- বেলায়েত হোসেন, এনামুল হক বাবু, শিরিন ইসলাম, শহীদুল ইসলাম নাজু, শামীমা সুলতানা তন্দ্রা, মুনমুন খান প্রমুখ।

মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, তিন দিনব্যাপী বড় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে দর্শকরা আসছেন। এই মেলার ফলে নগরবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক আরও বাড়বে।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৩টা থেকে। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সুরসাগর, মরম ও উজান। পরবর্তীতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আব্দুল হালিম খান, শিল্পী সাহা, তাহমিনা মুক্তি, শ্রাবণী গুহ রায়, আসিফ ইকবাল সৌরভ। বিকেলে শিশুদলে অংশগ্রহণ করবে সীমান্ত খেলাঘর, দলীয় আবৃত্তি করে স্বরশ্রুতি ও সংবৃতা। এছাড়া সন্ধ্যায় সংযাত্রা শীর্ষক বিশেষ পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিন সকালে পিঠাপুলির দোকানগুলোতে তেমন ক্রেতার দেখা না মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থী ও ক্রেতার সমাগম ঘটে। 

জানতে চাইলে মেলায় আসা পুরান ঢাকার বাসিন্দা পুরবী আহমেদ বলেন, শীতের পিঠা কালের গভীরে কিছু হারিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। শীতকালে শুধু গ্রাম বাংলায়ই নয়, শহর এলাকায়ও পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। ইদানীং শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার স্বাদ। আমি নাতি নাতনিদের নিয়ে এলাম পিঠা খাওয়াতে। 

তিনি বলেন, পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। আমাদের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ-উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। পিঠা-পার্বণের এ আনন্দ ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে। আমি গ্রামে বড় হয়েছি। সেসময় ছোটবেলায় দেখেছি, এ দেশে যেমন শত শত নামের ধান ছিল, তেমনি সেসব ধানের পিঠারও অন্ত ছিল না। কত কী বিচিত্র নামের পিঠা! পিঠা তৈরি ছিল আবহমান বাংলার মেয়েদের ঐতিহ্য।

বগুড়া পিঠাপুলি দোকানের কর্ণধার গাফফার বলেন, সকালে ক্রেতা একটু কম ছিল। তবে বিকেলে ক্রেতার সমাগম ছিল আশা জাগানো। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পিঠা বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ পিঠাপুলির দিকে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

তিনদিনের বর্ণিল এ আয়োজন আজ (রবিবার) শেষ হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App