×

জাতীয়

শীত উপেক্ষা করে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

Icon

এম এম সালাহউদ্দিন, কক্সবাজার থেকে

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮ এএম

শীত উপেক্ষা করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। 

এখানকার ব্যবসায়ীদের মতে এ সময়টা পর্যটকদের জন্য পিক সিজন।শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় আরো বেড়েছে কক্সবাজার। তবে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটক সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম। 

বিগত ১০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম তাপমাত্রা নেমেছে ১৮ ডিগ্রির নিচে। একারণে ভোরে এবং সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকত প্রায় পর্যটক শূন্য থাকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাপমাত্রাও। দুপরের দিকে সমুদ্রস্নানে নামতে দেখা যায় পর্যটকদের। 

কক্সবাজারের ডলফিন মোড়ে অবস্থিত বিলাসবহুল হোটেল বে-ওয়ান্ডার্সের ব্যবস্থাপক কাছির আহমেদ ভোরের কাগজকে জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার হোটেল-মোটেলগুলোতেও জায়গা পাচ্ছেন না পর্যটকরা। শুক্রবার কক্সবাজারের সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে ধারণা করছে টুরিস্ট পুলিশ। 

পর্যটননগরীর প্রায় সাড়ে ৬ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের বেশির ভাগই ভরপুর পর্যটকদের উপস্থিতিতে। কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন আসায় এখন পর্যটক বাড়ছে এ পর্যটন নগরীতে। 

এদিকে শুক্রবার সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্ট ও লাবণীতে দেখা যায় শীত উপেক্ষা করে পর্যটকরা সৈকতে নেমে গোসল করছেন। অনেকে আবার বালুচরে দৌড়-ঝাঁপ করছেন। কেউ কেউ দ্রুতগতির জেডস্কি নিয়ে বিশাল সমুদ্রের পাশে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছেন। আর অনেক অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। 

সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিন পর্যটকদের মধ্যে আমেজ একটু বেশিই থাকে।এক কথায় কক্সবাজারে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। 

নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার আসা সুফিয়া আক্তার নামে গৃহবধূ বলেন, ছেলেমেয়েদের আব্দার পূরণ করতে এই শীতের মধ্যে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা। ছেলে ফাহিম ও মেয়ে জেবা মোবাশ্বিরাকে নিয়ে ঘুরতে আসার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজের চাপে দেরি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, শীত-গরম যাই হোক কক্সবাজারের আবেদন পর্যটকদের কাছে আসলে সব সময়ই সমান।  

ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি অন্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় জায়গা হচ্ছে না হোটেল-মোটেলগুলোতে। এই সুযোগে রেস্তোরাঁ ও যানবাহনে কিছুটা বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা। 

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা মো, চান মিয়া বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব পয়েন্ট, পর্যটন স্পট ও বালিয়াড়িতে টুরিস্ট পুলিশের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য টুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। পর্যটকদের হয়রানি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App