এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, যুবদের ক্ষমতায়নের মূল সূত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহণ ও চেতনায় সমৃদ্ধ করে যুব অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মূল উন্নয়ন ধারায় যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।

আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো হল রুমে, ‘যুবদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রূপান্তরের উদ্যোগে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘যুব পলিসি তৈরি ও পাঠ্য-পুস্তুকে নতুন কার্যক্রম তৈরি করার সময় যুবদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে তাদের শেখার আগ্রহ বিকশিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চাকরির ক্ষেত্রে যুবরা বিশেষ করে প্রান্তিক যুবরা অনেক পিছিয়ে আছে। যুবদেরকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম তৈরি করতে হবে।’

বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম বলেন, ‘তরুণদের বেশি বেশি সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত কারার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।’ 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার বলেন, ‘আইসিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একত্রে কাজ করলে যুবদের চাকরি ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে যাতে যুবরা ক্ষমতায়িত হবে।’

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অফ কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের মূল পরিকল্পনা হলো কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যেকোনো ধর্ম, গোত্র ও সম্প্রদায়ের যুবরা এই প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। এ ছাড়া আস্থা প্রকল্প একজন যুবকে দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’

রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। ডেমক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজেদ ফিরোজ ও স্বাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন পালের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ।

এ সময় আরো উপস্থিতি ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা এবং আস্থা অ্যালায়েন্সের কর্মকর্তারা।

সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সহায়তায় রূপান্তর, ডেমক্রেসিওয়াচ, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থা, আশিকা, তৃনমূল উন্নয়ন সংস্থা, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের সাতটি বিভাগের ১৮টি জেলায় ১৪৭টি উপজেলায় আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।