পরিবেশ মন্ত্রী
একশ দিনের মধ্যে ইটভাটা বন্ধ করা হবে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
ঢাকার আশেপাশে পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটা ১০০ দিনের মধ্যে বন্ধের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
ঢাকা-৯ আসনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকার আশেপাশে অনেক ইটভাটা আছে, যা পরিবেশ দূষণ এবং বায়ু দূষণ করছে। অনেক অবৈধ ইটভাটাও আছে। আগামী একশো দিনের মধ্যে এইসব ইটভাটা বন্ধের চেষ্টা করা হবে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সবুজবাগ থানার পূর্ব বাসাবো প্রিন্স গার্ডেন মাঠে 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শীতার্তদের মাঝে ভালবাসার উষ্ম উপহার কম্বল বিতরণের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অথিতি ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী হবার পর নিজ আসনে এটা আমার প্রথম অনুষ্ঠান। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের যে চিন্তাটা সব থেকে বেশি কাজ করে তা হচ্ছে, আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে আদর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দিকনির্দেশনা আছে তাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, আমাকে অনেকে মন্ত্রী হিসেবে ফুল দিয়েছেন। তবে একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার মূল পরিচয় আমি ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এই পরিচয় আমার কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মন্ত্রী হিসেবে আমি সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা নির্বাচন করি একটি দলের প্রার্থী হয়ে। কিন্তু নির্বাচিত হবার পর আমরা নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কিন্তু সকল জনগণের হয়ে কাজ করি। আপনারা যে কেউ যে কোন সময় আমার কাছে আসতে পারেন। এখানে নৌকায় ভোট দিয়েছেন কিনা তা কোন বিষয় না। আপনারা সবাই ঢাকা-৯ এর নাগরিক হিসেবে আমার কাছে আসবেন আপনাদের সমস্যা নিয়ে। আমি তা সমাধানের কাজ করব।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি এটা যেমন সঠিক। আবার এটাও ঠিক যে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন আমরা সব জায়গায় পৌঁছে দিতে পারিনি। অর্থাৎ সমাজের এমন কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের জন্য আমাদের বিশেষ ভাবনা, চিন্তা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর সেই বোধ থেকেই আজকের এই আয়োজন। পত্র-পত্রিকায় আমরা খোঁজ পাচ্ছি আগামী কয়েক দিনের ভিতর বৃষ্টি হলে তখন শীত প্রচণ্ড পরিমাণে বাড়বে। এ সময় আমাদের সব থেকে বেশি যে কাজটি করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, জনগণের পাশে থাকা। আজকের এই দিনটা কোন আনন্দের দিন না। এটা এমন একটা দিন আমরা যে আপনাদের পাশে আছি সেটা পুন:ব্যক্ত করার দিন। আর এই আয়োজন করার জন্য এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। যা আমাদের আগামী এক দুই মাসের কর্মসূচির মধ্যেও আছে। আর সেটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পারি। এটা আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার। নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কাজ করা। আমাদের যে সকল অঙ্গীকার ছিল, তা প্রতিটি পূরণ করব।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন ও অতিথেয়তা বিভাগের প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার দেব, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়েমেন জো, চিত্র নাইকা শাহনুর প্রমুখ।