×

জাতীয়

চেম্বার আদালত

অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট সাহেদের খালাসের রায় স্থগিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট সাহেদের খালাসের রায় স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাসের রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সাহেদকে দেয়া হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ রায় স্থগিত থাকবে। সে সময় পর্যন্ত নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) অস্ত্র মামলায় মো. সাহেদকে বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালাসের রায় দেন।

সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।

মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ। 

উল্লেখ্য,  ২০২০ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেখান থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিনের মাথায় ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন ১৬ জুলাই সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও মাদক উদ্ধার করে। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা করে র‌্যাব। মামলার পর ১২ দিনের মাথায় ৩০ জুলাই এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ১৯ আগস্ট অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাহেদের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। নিশান গাড়ির ভেতরে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পড়ে ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। পড়ে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন। রায়ে সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে দেয়া হয় রায়ে। এছাড়া উদ্ধার করা অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সে গাড়ির মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতেও বলে দেয়া হয় রায়ে। পড়ে যাবজ্জীবনের সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সে আপিল মঞ্জুর করে খালাসের রায় দিলেন উচ্চ আদালত। এর পর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তা স্থগিতের আদেশ দেন।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App