×

জাতীয়

পাঁচ বছরেও বিচার হয়নি যুবলীগ নেতা শেখ আজাদ হত্যার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম

পাঁচ বছরেও বিচার হয়নি যুবলীগ নেতা শেখ আজাদ হত্যার

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ আলম ওরফে শেখ আজাদকে হত্যা করা হয় ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই। হত্যার পাঁচ বছর গত হয়ে গেলেও বিচার পায়নি আজাদের পরিবার। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন আলোর মুখ দেখছে না পরিবারটি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শেখ আজাদ হত্যার পর দীর্ঘ এক মাস মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশে মামলা নেয়া হলেও বিচারের দেখা মিলছে না। 

শেখ আজাদের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার আকুয়া এলাকায়। এলাকার স্থানীয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুপুর সময়ে শেখ আজাদের বাসায় হামলা চালায় হত্যাকারীরা। বাসা থেকে দৌড়ে বের হয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে বাসার সামনের রাস্তায় ফেলে তাকে হাতে-পায়ে গুলি করা হয়। এরপর সবার সামনে বুক চিড়ে ফেলা হয়, মাথা, হাত সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জখম করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য শেষ পর্যন্ত গলা কাটা হয়। স্ত্রীর অভিযোগ, হত্যার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুক চিরে কলিজা বের করে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

শেখ আজাদের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলুর অভিযোগ, আমার স্বামী মোহিত উর রহমান শান্তর সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো। শান্ত রাজনীতির বাইরে অনৈতিক কাজ করতে বললে আমার স্বামী তাতে সায় দেয়নি। এরপর থেকে আমার স্বামীর সাথে শান্তর দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর থেকে শান্তর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। ৩১ জুলাই আমার স্বামী বাড়িতে আসলে শান্তর ক্যাডারবাহিনী বাড়িতে হামলা চালায়। আমাদের সামনেই দিন-দুপুরে আমার স্বামীকে খুন করে কলিজা বের করে নিয়ে যায়।

দিলরুবা আক্তার দিলু বলেন, যারা আমার স্বামীকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তারা অনেক প্রভাবের লোক। আমরা ২৫ জনের নাম উল্লেখ করেছি, সেখান থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেলে দেয়া হয়। তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে ছিলো, তাদের আমরা ধরতে পারিনি। ২০১৮ সালে, তাদের অনেক ক্ষমতা। তিনি বলেন, এখনো আমার স্বামীকে হত্যার পর ঘটনার সাথে জড়িত শান্ত সহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করতে থানায় দরজায় দরজায় ঘুরি। কিন্তু পুলিশ কোন মামলা নেয়নি। এক মাস পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। ২০১৮ সালেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু পাঁচ বছরেও মামলার কোন অগ্রগতি নেই।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্ত প্রতিবেদনে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। অন্যদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে ১১জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ আজাদকে ধাওয়া করে তাকে প্রথমে গুলি করা হয়। পরবর্তীতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা করে হত্যাকারীরা। গলায় ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App