'সাংবাদিক-পুলিশ দুই পেশার কাজই ঝুঁকিপূর্ণ'
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
পুলিশের কাজ যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক ক্রাইম রিপোর্টারদের কাজটিও ঝুঁকিপূর্ণ। কাজটি যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ গত ২৮ অক্টোবর তা আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। তাদেরকে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়েছিল। পুলিশের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও পুলিশের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট থাকে কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে তা নেই। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি মানসিক সাহস, পেশার প্রতি কমিটমেন্ট ও পেশাগত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় 'ফ্রি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ক্যাম্প' পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, স্বাগত বক্তব্য দেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ক্র্যাবের কল্যাণ সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, পেশাগত ঝুঁকির পাশাপাশি মানসিক চাপও থাকে সাংবাদিকদের। এজন্য সাংবাদিকদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি। সাংবাদিকরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সেটি আরো ভালো কিছু আসবে।
ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, সকালবেলা হয়ত খারাপ লাগা বোধ করছি তখন মনে করছি চিকিৎসক দেখানো উচিত। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ভালোবোধ করলে তখন আর তা দেখানোর কথা মনে থাকে না। অথবা এমন কোনো কাজ তখন সামনে চলে আসে পেশাগত কারণেই চিকিৎসকের কাছে আর যাওয়া হয় না। এমন গত বছর আমরা ক্র্যাবের ৩জন সদস্যকে হারিয়েছি, যারা তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হয়েছেন, কিন্তু সেই সময়টুকু আর পাওয়া যায়নি, তারা মারা গেছেন। আমরা সাংবাদিকরা শরীরের প্রতি খামখেয়ালি না হয়ে একটু সচেতন থাকা প্রয়োজন। শুধু পেশাগত কাজ করলেই হবে না সবার উচিত নিজের ও পরিবারে প্রতি সচেতন হওয়া।
ধূমপায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'যারা ধূমপান করছেন তারা ধূমপান ছেড়ে দিবেন। এতে করে শরীরের অনেক ছোট-বড় সমস্যা কমে যাবে।'
স্বাগত বক্তব্যে ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ বলেন,দিন-রাত পরিশ্রমের কারণে ক্রাইম রিপোর্টাররা স্বাস্থ্য থেকে বিমুখ থাকেন। বড় কোনো অসুস্থতা নাহলে ক্রাইম রিপোর্টাররা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননা। আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। আগামীতেও আমাদের ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল সব সময় সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসাজনিত সেবা দিয়ে যাবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হোসেন, ক্র্যাবের সহ সভাপতি মাসুম মিজান, সিনিয়র সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল, সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন, সাবেক সভাপতি ইসারফ হোসেন ইসা, সাবেক সহ সভাপতি নিত্য গোপাল তুতু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম বাদশা ও সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম সাত্তার রনিসহ প্রমুখ।