×

জাতীয়

ভ্যাকসিন পেতে কূটনৈতিক পথে প্রয়াস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০, ১০:৩৯ এএম

করোনা থেকে মুক্তির জন্য ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক পথে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। করোনার টিকা আবিষ্কৃৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো যেন উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়ে কাজ করছে সরকার। জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২১ জুলাই ভোরের কাগজকে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে আমরা একটা ফান্ড গঠন করেছি। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে এই ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ যাতে ভ্যাকসিন পেতে পারে সেজন্য কাজ করছি। এদিকে আগস্টে রাশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ সফল হলে বাংলাদেশও ভ্যাকসিন পেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, একাধিক হিউম্যান ট্রায়ালে শতভাগ নিরাপদ এ ভ্যাকসিন রোগীর শরীরে কার্যকরী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম। মানবদেহে শতভাগ কার্যকরী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে এখন আলোচনায় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি এন্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে শতভাগ সফল হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি চলছে। রাশিয়ায় বাংলাদেশি চিকিৎসকরা বলছেন, দেশব্যাপী মধ্য আগস্ট থেকে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু হবে। রুশ গবেষকরা বলছেন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা জার্মানি যেসব ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে, তাদের থেকেও নিরাপদ হলো রাশিয়ার ভ্যাকসিন। যা আশার আলো দেখাচ্ছে বিশ্ববাসীকে। এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন চ্যাডক্স১ এনকোড-১৯ এর ট্রায়াল ভারতে চালানো হবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ভারতেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করবে। তারা জানিয়েছে লাইসেন্স পেলেই তারা ভারতে উৎপাদন শুরু করে মানুষের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করতে চায়। এই ভ্যাকসিনটিও বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য জোর ক‚টনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। তবে সব মিলিয়ে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এখন গোটা বিশে^ চলছে এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা। কোন দেশ আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবে সেই প্রতিযোগিতা তো আছেই, পাশাপাশি কে সবার আগে ভ্যাকসিন পাবে সেটা নিয়েও চলছে দৌড়ঝাঁপ। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ভ্যাকিসিন নিয়ে যে দেশগুলো গবেষণা চালাচ্ছে সেই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ বিষয়ে খোঁজ রাখছিলেন এবং নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App