×

জাতীয়

ন্যায়বিচারের আশায় কেটে গেল সাত বছর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:১৯ পিএম

ন্যায়বিচারের আশায় কেটে গেল সাত বছর
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার সাত বছর পূর্ণ হলো আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। বিএসএফের বিশেষ আদালত আত্মস্বীকৃত খুনি বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষকে দুই দফায় বেকুসর খালাস দেয়ার পর মামলাটি এখন ভারতের উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত হয়ে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে ঢোকার সময় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী। কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়ায় নিহত কিশোরীটির মরদেহ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। ফেলানীর ঝুলে থাকা এই ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর দুই দিনব্যাপী দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ ফেলানীর লাশ বিজিবির কাছে ফেরত দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া প্রতিবাদে ২০১৩ সালে ভারতের কুচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। কিন্তু বিচারের ব্যবস্থা হলেও ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএসএফের আদালত আসামি বিএসএফের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়। ফেলানীর পরিবারের আপত্তিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নতুন করে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু পুনর্বিচারে একই আদালত তাদের পুরনো রায় বহাল রাখে। এরপর ন্যায়বিচার চেয়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের মানবাধিকার সংস্থা ‘মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম)’ সহায়তায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টে পরপর দুটি রিট করলে আদালত তা গ্রহণ করলেও আজও শুনানি হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ১৮ জানুয়ারি একই সঙ্গে ওই দুই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিট শুনানিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করছেন ফেলানী হত্যাকাণ্ডের আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন। এদিকে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ-মাসুম-এর কর্মকর্তা কিরিট রায় জানান, ‘এই মামলা ঝুলে থাকার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এটা পড়ে আছে। যে কোনো দিন এটা তালিকায় আসবে। সেই সময় আবার মামলা হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App