দেশের মোট ভোটার ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার ভোটার উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড হাতে পেয়েছেন। আরো এক কোটি নাগরিকের কার্ড পৌঁছে গেছে উপজেলা পর্যায়ে। যা করোনা সংক্রমণের ফলে এখনো বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শফিক।

তিনি জানিয়েছেন, করোনা প্রকোপের মধ্যেও বন্ধ হয়নি স্মার্টকার্ড উৎপাদনের কাজ। তবে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে আবারও কার্ড সরবরাহ চলবে পুরোদমে।

মোহাম্মদ শফিক জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১ লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার কার্ড। এছাড়া ১ কোটি ২ লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এই কার্ডগুলো অর্থাৎ ৭ কোটি ৩ লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাজ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে কিছু ব্লাঙ্ক বা সাদা কার্ড ছিল।

ইসি র্সত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এ হিসেবে দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি কার্ড উৎপাদন ও বিতরণে যেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। নির্বাচন কমিশন এই কার্ডগুলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে তৈরি করে নেবে।

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, এখন থেকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই স্মার্টকার্ড তৈরি করে নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০২১ সালের মধ্যে আড়াই কোটি কার্ড তৈরি করে দেবে সে ধরনের চুক্তি হয়েছে।

এনআইডি মহাপরিচালক আরো বলেন, ফ্রান্সের অবার্থ্রুার টেকনোলজিজ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সময় মতো কার্ড সরবরাহ না করতে পারায় স্মার্টকার্ড বিতরণে দেরি হয়েছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিএমটিএফ থেকে কার্ড তৈরি করে নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বিএমটিএফ আমাদের আড়াই কোটি স্মার্টকার্ড তৈরি করে দেবে। এতে নতুন ভোটার, সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদির সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যখন যা প্রয়োজন হবে, সে সংখ্যক তৈরি করে নেয়া হবে।