×

জাতীয়

শ্রীকাইলে নতুন কূপ থেকে শিগগিরই গ্যাস উত্তোলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২০, ১০:০২ এএম

শ্রীকাইলে নতুন কূপ থেকে শিগগিরই গ্যাস উত্তোলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রীকাইলে নতুন কূপে গ্যাসে মজুদ রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১২ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (ভূ-তত্ত্ব) আলমগীর হোসেন জানান, মাটির নিচে প্রায় তিন হাজার ৮০ মিটার গভীরে আমরা গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের ৫ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উঠতে শুরু করে। গ্যাসের সঙ্গে তখন প্রচুর পানি উঠতে থাকে। এখন গ্যাসের রিজার্ভসহ গ্যাসক্ষেত্রের সার্বিক অবস্থার ওপর প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আশা করা হচ্ছে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এটি মুজিববর্ষে বাপেক্সের পক্ষ থেকে জাতির জন্য উপহার। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আবদুল হান্নান গতকাল জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছেন, শ্রীকাইলের ৫ নম্বর কূপটিতে ১ হাজার ৮৮০ পাউন্ড/ইঞ্চি (পিএসআই) গ্যাসের চাপ ছিল। কূপটি পরিষ্কারের কাজ চলছে। এরপরই নিশ্চিত করে বলা যাবে যে কূপে কী পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে। বাপেক্স জানিয়েছে, এখন গ্যাস উত্তোলন উপযোগী করা, ফিল্ডে গ্যাসের পরিমাণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া, গ্যাসের সঙ্গে পানির পরিমাণ এবং গ্যাসের প্রেসারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। আগামী পাঁচদিন এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তারপরই শুরু হবে উত্তোলন। গ্যাস ফিল্ডের কাছাকাছি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। শুধুমাত্র ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। তাহলেই কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শুরুতে গ্যাসের সঙ্গে পানি আসলেও গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে পানি ওঠা কমে আসে। ফলে এই ফিল্ড থেকে গ্যাস পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বাপেক্স শ্রীকাইলে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করে। দীর্ঘ চার মাস একটানা খনন কাজের পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গ্যাস বের হওয়ার পর বাপেক্সের প্রকৌশলীরা গ্যাসের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ কবীর জানান, ২০১৭-১৮ সালে ত্রি-মাত্রিক ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের অস্তিত্ব জানা যায়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নবীনগর উপজেলার শ্রীকাইলের হাজীপুর গ্রামে কৃষি জমির মধ্যে রিগ বসিয়ে প্রকল্পের খনন কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি খনন কাজ শেষ হয়। এরপর নানা খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপের মুখে আগুন দিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়। শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস প্রকল্পের খনন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহসিন আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এই কূপে গ্যাসের চাপ বেশ ভালো। গ্যাস কূপটি খননে ৭০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App