রাজধানীর পল্লবী থেকে মো. শের আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাব বলছে ভোলায় চাঞ্চল্যকর ৮ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত সে। নতুন জামার প্রলোভন দেখিয়ে চাচাতো ভাইয়ের শিশু মেয়েটিকে একটি কক্ষে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে শের আলী। পরে নতুন জামা পড়িয়েই ভিকটিমকে স্কুলে পাঠিয়ে দেয় সে।

র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভিকটিম ভোলা সদর থানার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২০ জানুয়ারী স্কুলে ব্যাগ রেখে কিছু খাবার কেনার জন্য পাশের একটি দোকানে যায় ভিকটিম। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা চাচা শের আলী ছাত্রীকে নতুন জামা দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে স্থানীয় একটি পোষ্ট অফিসের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, স্কুল থেকে বাসায় পৌঁছে ভিকটিম তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মামলাও করেন। মোজাম্মেল শের আলী ভিকটিমের বাবার চাচতো ভাই ও ঘটনাস্থল ওই পোষ্ট অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত।

এ ঘটনাটি এলাকা বাসীর মধ্যে চরম ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ধষর্ণের ঘটনার প্রতিবাদে পোস্ট অফিস ভাংচুরসহ আসামীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিলও করে তারা। বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর হওয়ায় থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-৪ মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পল্লবী থানাধীন এলাকা থেকে শের আলীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।