×

জাতীয়

মানুষের শ্রবণ শক্তি লোপ পেয়েছে ২০ শতাংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০১:১০ পিএম

মানুষের শ্রবণ শক্তি লোপ পেয়েছে ২০ শতাংশ

দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণ শক্তি লোপ পেয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ শতাংশই শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৩ সালের গবেষণায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানয়ারি) সকালে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) উদ্যোগে তীব্র শব্দ দূষণের কবলে ঢাকাবাসী শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে বলা হয়, পর্যবেক্ষণে দেখা যায় সচিবালয় এলাকার উচ্চ শব্দ সৃষ্টির মূল উৎস ছিল যানবাহনের হর্ন।নীরবতা ঘোষণার পূর্বে ও পরে ১২টি স্থানে সর্বোচ্চ সম্মান ছিল যথাক্রমে শিক্ষা ভবনে ১০০.৫ ও ৯৯.৫, সচিবালয় ৩ নং গেটে ৯৯.২ ও ১০০৫.১, সচিবালয়ের এক নম্বর গেটে ৯৭.৯ ও ১০২.৭, সচিবরা দক্ষিণ পূর্ব পাশে ১০০.৯ ওয়ার্কসপ ২৫.২, জিরো পয়েন্টে ১২৭.০১২৪ ও ১২৪ দশমিক ৯, সচিবালয় পশ্চিম পাশে ৯৯.৫ ও ১০০.৩, প্রেসক্লাব এলাকায় ১০৮.২ ও ১২৬.১১০ ও ১২.৯ ১০.৯ ডেসিবেল।

আমেরিকান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে 85 ডেসিবেল শব্দ সর্বোচ্চ স্থিতিকাল প্রতিদিন ৪ ঘন্টা। ১০০ ডেসিবেল শব্দ সর্বোচ্চ অনুমোদনই ও স্থিতি কাল প্রতিদিন ১৫ মিনিট। ১২০ ডেসিবেল শব্দের সর্বোচ্চ অনুমোদনই অস্থিতি কাল প্রতিদিন ৯ সেকেন্ড। ১২০ ডেসিবেল শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। শব্দদূষণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার২০১৩ সালের গবেষণা অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণ শক্তি লোপ পেয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ শতাংশই শিশু।পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে শব্দের মাত্রা পরিমাণ বিষয়ক একটি জরিপে দেখা গেছে সবগুলো স্থানেই শব্দের মাত্রা অতিক্রম করেছে।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী সচিবালয় এলাকায় দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল শব্দ থাকার কথা ছিল।কিন্তু বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই এলাকায় দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবল এর নিচে ছিল না।

অনুষ্ঠানে বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বা পাস নির্বাহী সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ক্যাপস এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড.আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরোয়ার ইমতিয়াজ হাশমি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক আলী নকী উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App