×

জাতীয়

পুরনো দাবি নতুন করে উঠবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:০২ এএম

পুরনো দাবি নতুন করে উঠবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে
আশ্বাস ও প্রাপ্তির সঙ্গে সমন্বয় না ঘটায় এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুরনো দাবি-দাওয়াগুলোই ফের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। গত ৪ বছরে প্রস্তাবিত একটি দাবি পূরণ হলেও বিভিন্ন দূতাবাসে পুলিশ নিয়োগ, পৃথক পুলিশ বিভাগ, আবাসন, যানবাহন, ঝুঁকি ভাতা, বিশেষ ভাতা, কর্মঘণ্টা কমানো, পুলিশের মহাপরিদর্শক পদকে ফোর স্টার জেনারেলের মর্যাদা প্রদান, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ে সহজশর্তে ঋণ ও সুপারনিউমারারি পদের সংখ্যা বাড়ানোসহ একগুচ্ছ দাবি বাস্তবায়ন ঝুলে আছে এখনো। পুলিশ চায় তাদের ওইসব চাহিদা পূরণে সংশ্লিষ্টরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন। পুলিশ সপ্তাহ উদযাপনে গঠিত কমিটির সদস্যদের ভাবনায় রয়েছে এসব বিষয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিবাদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ রবিবার শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে এবারের পুলিশ সপ্তাহের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’। জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগে ইন্সপেক্টর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পোশাক কেনার জন্য সরকার টাকা দিত। তবে ২০১৭ সালে ইন্সপেক্টর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বছরে ২টি পোশাক দেয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। এই দাবিটি মেনে কয়েক বছর ধরে তাদের দুটি ইউনিফর্ম দেয়া হচ্ছে। এই দাবিটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হওয়া ছাড়া আর কোনোটির তেমন অগ্রগতি নেই। ২০১৯ সালে পুলিশ যে কয়েকটি দাবি জানিয়েছিল, তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো বাস্তবায়নে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এখন পর্যন্ত একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। সূত্র মতে, পুলিশবাহিনীর জন্য একটি স্পোর্টস ট্রেনিং কমপ্লেক্স তৈরির দাবি জানানো হয়েছিল গত বছর। পুলিশ সদর দপ্তরের ডেভেলপমেন্ট-২ শাখা এখন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ করছে। ডিপিপি তৈরির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এরপর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে এই প্রস্তাব। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা ধরেই নিয়েছেন, সহসা নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স পাচ্ছে না পুলিশ। একই বছর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পারিবারিক রেশন সুবিধা চাওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের এই প্রস্তাব মেনে নেন। তবে বর্তমানে এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখায় আটকে আছে। এ ছাড়াও কর্তব্যরত অবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হলে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। অথচ চাকরিরত অবস্থায় (ছুটিতে থাকলেও) কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি মারা যান সে ক্ষেত্রে ৮ লাখ টাকা দেয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা একে চরম বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করছেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহে এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে গত বছরের পুলিশ সপ্তাহে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চার ক্যাটাগরিতে পদক দেয়ার ক্ষেত্রে বাহিনীর নিম্নস্তরের সদস্যরা প্রাধান্য পেয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বিপিএম-সেবা, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ও পিপিএম-সেবা পাচ্ছেন ১১৮ পুলিশ সদস্য। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৪৯ জন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা প্রতিবারের মতো এবারো প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের যৌক্তিক দাবিদাওয়াগুলো তুলে ধরবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App