×

জাতীয়

ভারপ্রাপ্ত খতিব দিয়ে চলছে বায়তুল মোকাররম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৪ এএম

ভারপ্রাপ্ত খতিব দিয়ে চলছে বায়তুল মোকাররম

সাড়ে চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও খতিব সালাহউদ্দিনের বেতন-ভাতা বাবদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে

নিজ কর্মস্থলে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে অনুপস্থিত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত খতিব দিয়ে চলছে বায়তুল মোকাররম। অথচ খতিব হিসেবে নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ওপর পরিচালিত সিভিল অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে আপত্তি উঠেছে। খতিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, মাওলানা সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত কারণে শয্যাশায়ী। তিনি দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে পারছেন না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে, মাওলানা সালাহউদ্দিন ভারতে চিকিৎসার জন্য ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৫ দিনের ছুটি নেন। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পর তিনি আর কোনো খুতবা দেননি। কিন্তু নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন তিনি।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাড়ে চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও খতিব সালাহউদ্দিনের বেতন-ভাতা বাবদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিট বিভাগকে জানায়, চিকিৎসা শেষে খতিব যথারীতি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তবে তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় খুতবা দেয়া থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় সিনিয়র পেশ ইমাম ও পেশ ইমামরা খুতবা প্রদানের দায়িত্ব পালন করছেন। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জবাবকে স্বীকৃতিমূলক আখ্যায়িত করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালন না করে বা অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনিনি। সেখানে ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে পেশ ইমাম দায়িত্ব পালন করছেন। ওখানে একটা ট্রেডিশন (ঐতিহ্য) আছে, এর আগের সব খতিবই আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, খতিবের বিষয়টা হলো- সালাহউদ্দিনের আগে যারা খতিব ছিলেন সবাই আমৃত্যু এ পদে ছিলেন।

এখন এটাকে একটা অজুহাত হিসেবে নিয়ে উনি সাড়ে চার বছর আসলেন না। বিবেকের তাড়নায় উনিও রিজাইন (পদত্যাগ) করতে পারতেন। আমৃত্যু খতিব থাকার নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তিনি আরো বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এটা নিয়ে একাধিকবার কথা হয়েছে। সবাই মনে করেছিল উনি হয়তো সুস্থ হয়ে যাবেন, ফিরে আসবেন। দীর্ঘ সময় পার হলো কিন্তু সেটা এখনো হয়নি।

‘আমৃত্যু কেউ খতিব থাকবে, বিষয়টি তাও নয়। তিনি বলেন, যেহেতু তিনি অসুস্থ সেহেতু আমাদের সবার বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। তা ছাড়া, বায়তুল মোকাররমে এখন একজন খতিব খুবই জরুরি। এটা মুসল্লিদের চাহিদা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App