×

জাতীয়

৮১ কোম্পানির ৪১টির পানিই দূষিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

৮১ কোম্পানির ৪১টির পানিই দূষিত

বোতলজাত দূষিত পানি প্রতিরোধ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা। ছবি: ফাইল।

মিনারেল বা ড্রিংকিং পানি বোতলজাত বা উৎপাদনকারী কারখানাগুলো সঠিকভাবে বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে না। ৮১টি বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী কোম্পানির মধ্যে মধ্যে মাত্র ৪১ টি কোম্পানির পানি বিশুদ্ধ এবং ৪০টি কোম্পানি অর্থাৎ ৫০ শতাংশ বোতলজাত পানি দূষিত বলে রিপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৪০ টি দূষিত বোতলজাত পানি উৎপাদকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহষ্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে উত্থাপিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও পারভীন হক সিকদার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন, বৈঠকে ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদনকারী কারখানার পরিদর্শন সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়। দেখা যাচ্ছে বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ভুয়া। তাই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সবিহীন ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদনকারী অবৈধ কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ৮১টি খাবার পানি উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন করে এর মধ্যে মাত্র ৪১টি কোম্পানি সুপেয় পানি উৎপাদনে সক্ষম বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। বাকি ৪০টি কোম্পানি পানি দুষিত, এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদনে সক্ষম ৪১টি প্রতিষ্ঠানই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। অবশিষ্টের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের যন্ত্রপাতি থাকলেও তারা যথাযথভাবে পরিশোধ না করে জারে ভর্তি করে অবৈধভাবে পানি বিক্রি বা বিতরণ করে থাকে। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে চতুর্থ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএসটিআই কর্তৃক সার্ভিলেন্স টিম গঠন করা হয়। মোবাইল কোর্ট বা সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনার সংখ্যা ৪৩টি। অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর ৪টি অবৈধ কারখানা যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো কারখানার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App