×

জাতীয়

টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম

টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা
ছাত্রলীগের কারও বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগকে পরিচালিত করব। তিনি যেভাবে বলবেন ঠিক সেই ভাবেই ছাত্রলীগ চলবে। নেতিবাচক কাজের জন্য কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কারও বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা ১৩ মাস সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা মনে করি এ দায়িত্ব আমাদের কাছে শেখ হাসিনার আমানত। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্পিত দায়িত্ব পালন করব। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের দিক নির্দেশনায় আমরা কর্মপদ্ধতি ঠিক করব। তিনি আরও বলেন, আমি এবং সাধারণ সম্পাদক বসে আমরা ছক আঁকব কিভাবে ছাত্রলীগকে চালানো যায়। আমাদের সামনে ১০ মাসের মত সময় আছে। আমরা অতি দ্রুতই বিভিন্ন শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে যুগোপযোগী নতুন কমিটি দিব। সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আগামীকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিবেন তারা। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, যেহেতু নৈতিক স্খলনের কারণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে হয়েছে তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা শুধু দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি এবং তাই পালন করার চেষ্টা করব। আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সেটা নীতিনির্ধারকরাই নিবে। নীতিনির্ধারক কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিতর্কের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি কতখানি ক্ষুণ্ন করেছে এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন জবাব না দিয়ে জয় বলেন, যদি ছাত্রলীগের ভাবমূ্র্তি ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে তবে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারব। সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে কোনো ধরণের অসহযোগিতার সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই সবাইকে চলতে হবে। ইতোমধ্যে তারা ঘোষণা দিয়েছেন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App