×

জাতীয়

এখনো জোটেনি বয়স্ক ও বিধবা ভাতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম

এখনো জোটেনি বয়স্ক ও বিধবা ভাতা
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন সাতানব্বই বছরের বৃদ্ধা জহুরা বেওয়া। কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। কানেও ঠিকমতো শুনতে পান না। উবু হয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করেন এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি। স্বামী আরফান আলী মারা গেছেন ত্রিশ বছর আগে। কুড়িগ্রামের ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের সাদা মুন্সির কুঠি গ্রামের বাসিন্দা চার সন্তানের জননী জহুরা বেওয়ার জন্ম ১৯২২ সালে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে জহির উদ্দিন দিনমজুর। পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন। কখনো ছোট ছেলে মহির উদ্দিনের সংসারে খান আবার কখনো একাই আলাদা রান্না করে খান জহুরা বেওয়া। নানাজনের সহায়তা নিয়ে চলা এই বৃদ্ধার বয়স একশ পূরণ হতে চললেও এখনো ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। একটি ভাতা কার্ডের জন্য দিনের পর দিন স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, টাকা দিতে না পারায় তাকে ভাতা কার্ড দেয়া হয়নি। জহুরা বেওয়ার জানান, তাকে ভাতা কার্ড না দেয়ায় প্রতিবেশীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। জহুরা বেওয়ার নাতি আ. মালেক জানান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য দাদির ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়েছেন। পরে কী করেছেন না করেছেন তারাই ভালো জানেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্ড পাইনি। ইউপি সদস্য আকতার জানান, বরাদ্দ কম থাকায় তাকে এবার ভাতা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে করা হবে। চেয়ারম্যান রাজু আহাম্মেদ খোকন বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে অন্য মানুষকে কার্ডের কথা বললে তারা কি দিতে পারবে? টাকার বিনিময়ে কার্ড দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাতে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল হোসেন জহুরা বেওয়ার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App