×

জাতীয়

বাউফলে একাডেমিক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম

বাউফলে একাডেমিক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণি কক্ষ পরিচালনা, প্রাত্যাহিক সমাবেশ ও শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠটীকা প্রস্তুত এবং সে অনুযায়ি ক্লাশ নেয়া ও শিক্ষকদের নিয়মিত ডায়েরী অনুসরণ করাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে কি না সেগুলো দেখভাল করার জন্য ২০১৪ সাল থেকে সরকার প্রতি উপজেলায় একাডেমিক সুপারভাইজার নিয়োগ দেন। কিন্তু বাউফলে একাডেমিক সুপারভাইজার থাকলেও তার বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে পরিদর্শন না করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করা কিছু নির্দেশনা তদারকির অভাবে কাগজে-কলমেই ফাইল বন্দি হয়ে রয়েছে। সূত্র জানায়, বাউফলে ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬৭ টি মাদ্রাসা দেখভাল করার জন্য কে.এম. সোহেল রানা একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে আসছেন। কাজের গতি সচল রাখার জন্য একটি মটর সাইকেলসহ জ¦ালানী খরচও সরকার থেকে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সোহেল রানা নিয়মিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করে যাচ্ছেন। মাসের অধিকাংশ সময়ই তাকে উপজেলার নানা অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। উপজেলায় ওই কাজ করতে গিয়ে তার মূল কাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকি মারতœকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা যথাযথভাবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ডায়েরী অনুসরণ করছেন না। অভিযোগ রয়েছে, বছরে দু’এক বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন খাতাপত্রে স্বাক্ষর করে তার সক্রিয়তা ঠিক রাখছেন। নানাবিধ অসুবিধার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তার কাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানিয়েছেন, একজন একাডেমিক সুপার ভাইজারের কাজ হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত “পারফরমারেন্স বেইজড ম্যানেজমেন্ট” শক্তিশালী করা। অথচ কোন নিয়মই অনুসরণ করছেন না বাউফলে কর্মরত একাডেমিক সুপারভাইজার সোহের রানা। অভিযোগ রয়েছে, সোহেলা রানা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে সকল নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে খেয়াল খুশি মতো কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান, একাডেমিক সুপারভাইজার কে.এম. সোহেল রানা একমাস তো দুরের কথা দশ মাসেও বিদ্যালয়ে আসেননি। অভিযোগ অস্বীকার করে একাডেমিক সুপারভাইজার কে.এম সোহেল রানা বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। ৬-৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তিনি জানান, জানুয়ারি মাসেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছি। কিন্তু তার উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তারা পরিদর্শনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আপনারাতো সবই দেখেন। পরিদর্শনের বিষয়টি তাকে বহুবার বলা হয়েছে। তবে কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিনি পরিদর্শনে যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App