আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দের কঠোর ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার নির্দেশনা দিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল।

তিনি বলেছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক বিচার করে সাজা দিতে পারেন, কেননা ‘ভোটের দিন কিছু অসৎ উপায় অবলম্বনের চেষ্টা হয়ে থাকে। ব্যালট কেড়ে নিয়ে সিলমারা, কেন্দ্র দখল, পেশি শক্তির ব্যবহার এসব হলে ভোটার কেন্দ্রমুখি হবেন না।’ এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলে ভোটারদের মধ্যে আস্থা গড়ে উঠবে বলেও মনে করেন সিইসি।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন সিইসি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কাজী হাবিবুর আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা কোনও মন্ত্রী সনদ দিলে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যাবে না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে। সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে গোপন বুথ ছাড়া সবখানে অবাধে বিচরণ করতে পারবেন।’

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আগ্রহ দেখিয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বারবার দেখা করেছে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। তারা আশা করে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তারা যখন আশা করেন, তখন তা বেশ শক্তভাবেই করেন। তাদের এই আশা করাটা অন্যায় নয়। তিনি বলেন, যে কোন উপায়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে।