×

জাতীয়

নববর্ষে আতশবাজি-ফানুস না পোড়াতে ক্যাপসের আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬ এএম

নববর্ষে আতশবাজি-ফানুস না পোড়াতে ক্যাপসের আহ্বান

ইংরেজি নববর্ষ-থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্রকরে দেশবাসীকে আতশবাজি ও ফানুস না পোড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নববর্ষ মানেই উৎসবমুখর একটি দিন। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা এক মিনিট থেকেই শুরু হয় নতুন বছর উদযাপনের উন্মাদনা। মুহুর্মু শব্দ করে আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আতশবাজির আলোকছটা। প্রতিবছরই ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানো হয়। ফলশ্রুতিতে বছরের প্রথম দিন শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর বায়ু সেবন করে এবং সরব উপস্থিতিতে শব্দ দূষণের মত নীরব ঘাতকে সঙ্গে নিয়ে। এই আকস্মিক বায়ু ও শব্দ দূষণ মানুষ, পশুপাখি ও পরিবেশ প্রতিবেশ উপর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর গবেষণা দল গত ৬ বছরব্যাপী (৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৩) ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বায়ু ও শব্দ দূষণের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

গবেষণায় দেখা যায় যে, ডিসেম্বরের শেষ দিনের তুলনায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনের বায়ুমান অনেক বেশি খারাপ থাকে। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ৩১ ডিসেম্বরের থেকে ১ জানুয়ারি বায়ুমান সূচক সর্বনিম্ন ৬% থেকে সর্বোচ্চ ৬৬% শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, পটকা-আতশবাজি ইত্যাদি ফুটানোর ফলে শব্দের তীব্রতা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, বর্ষবরণের পটকা-আতশবাজি থেকে উৎপন্ন শব্দের মাত্রা পূর্বের দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন ৪৬% থেকে সর্বোচ্চ ১১৩% পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।

আতশবাজির শব্দের জন্য প্রাণী ছাড়াও শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী মা এবং রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশেই বর্ষবরণের বাজির শব্দে গত বছর শিশু প্রাণহানি ঘটেছে, এছাড়াও উচ্চ শব্দের কারণে অনেকেই হার্ট অ্যাটাক করেন এবং অসুস্থ হয়ে যাবার মত ঘটনা ঘটেছে। পাখিরা প্রচণ্ড আওয়াজের কারণে উড়া-উড়ি করে এবং গাছে বা বিল্ডিঙের দেয়ালে আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যায় ফলে আহত হয় এবং মারাও যায়।

এমতাবস্থায় বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) দেশবাসীর নিকট অনুরোধ করছে যে, প্রত্যেকে যেন সামাজিকভাবে নিজ নিজ স্থান হতে সচেতন হয় এবং পরিবেশ ও জান-মালের নিরাপত্তার জন্য আতশবাজি ও ফানুস বর্জন করেন। এক জনের ক্ষণিকের আনন্দ উল্লাস যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। আমাদেরকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে জনগণের কথা মাথায় রেখে নববর্ষকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App