×

জাতীয়

এমপি কারা হবেন তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম

এমপি কারা হবেন তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে

রাজধানীর পেট্রোবাংলা, কারওয়ান বাজার এলাকায় ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে নেতারা। ছবি: ভোরের কাগজ

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এবারও একতরফা, ডামি, প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছে। কিন্তু জনগণ এবার আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পেট্রোবাংলা, কারওয়ান বাজার এলাকায় ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে নেতারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, তবে ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবেন- সেই তালিকা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবেন- সেই তালিকা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৭ তারিখ সন্ধ্যায় এমপিদের নাম ঘোষণা করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নির্বাচনী আয়োজন করা হয়েছে। তবে দেশের জনগণ ইতোমধ্যে একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের বিদায় খুবই নিকটে। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ এই সরকার ও প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই। এরা ভোটের আগে জনগণের পায়ে ধরে, আর ভোটের পরে বুকে গুলি করে। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের আগে আলেমদের সালাম দেয় এবং ভোটের পরে কারাগারে পাঠায়। জনগণ এই চরিত্র ধরে ফেলেছে। তারা আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, এ সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রেখে এখন আরেকটি একতরফা পাতানো নির্বাচন করতে চায়। ৭ তারিখ জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম রওনক, অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দীন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাসার, যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ এলডিপি শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি নুরুজ্জামান, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদি, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির লায়ন উমার রাযী, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App