×

জাতীয়

৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রবিবার গণতন্ত্র মঞ্চ গণসংযোগ করে। ছবি: ভোরের কাগজ

৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, আপনার-আমার টাকা ব্যাংকে থাকে, দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি তারাই বলছে যে, ৯২ হাজার কোটি টাকা স্রেফ লুটপাট করে ফেলা হয়েছে এটা কিন্তু খেলাপি ঋণ নয়… খেলাপি ঋণ অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই ৯২ হাজার কোটি টাকা তো আসার সম্ভাবনা নাই…স্রেফ লুট হয়ে গেছে। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য তারা (সরকার) এভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এই লুটপাটতন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনীতি সংকটে, জিনিসপত্রে দাম বাড়ে… আমার-আপনার পেটে লাঠি পড়ে, প্রতিদিন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং সেই টাকা পাচার হচ্ছে।

এভাবে চলতে দেবেন? যদি না দেন তাহলে এই যে ভোট ডাকাত-তামাশা সেটাকে রুখে দিতে হবে। ওই নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। আপনার যদি দেশের প্রতি দায় থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন না। ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না। এটাই বাংলাদেশের এখন প্রত্যয়, রুখে দেবেন। এই আজব তামাশা জনগণ প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে রুখে দেবে। সাকি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই যে সংকট এর সমাধানের সময় এখনো আছে। এদেশের সংকট সমাধানের এমনকি তাদের ভাষায় সংবিধানের অধীনেও এমনই পরিষ্কার ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়লে দেখবেন পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে… এমনিতেই তারা জনগণের ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই… পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনায় বসেন এবং তিন মাসের মধ্যে একটা অংশগ্রহণমূলক সত্যিকারের নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।

ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ৭০ভাগ মানুষ ভোট দেয়ার জন্য নাকি রেডি। তাহলে মানুষের ওপর ভরসা করে আসেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মোকাবিলা করেন। আপনাদের যদি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেবো। কিন্তু আপনাদের সেই সাহস নাই… জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ জনগণ ব্যালটে সিল দেয়ার ক্ষমতা পেলে আওয়ামী লীগের এই সরকার ভেসে যাবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে তারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকা মার্কার সাথে ডামি প্রার্থীর সহিংসতা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে নৌকা প্রার্থীর সহিংসতা। গত কয়েকদিনে দুইজন মারা গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অথচ দায়ী করা হচ্ছে বিরোধী দলকে।

ছোটকালে আমার দাদীরা বলতেন যে, পরিস্থিতি এরকম যে প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ নেবার জন্য নাকি অনেক সময় সতিনকে জব্দ করার জন্য নিজের ছেলেকে পর্যন্ত মেরে ফেলে, সতিনের বিরুদ্ধে মামলা দেবার জন্য… তাকে জব্দ করার জন্য। আজকে এই সরকার বিরোধী দলকে জব্দ করার জন্য তাদেরকে সন্ত্রাসে নাম দেয়ার জন্য দেশব্যাপী পরিকল্পিত সন্ত্রাস তারা ছড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের হাজার নেতা-কর্মী জেলখানায় আর তাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি-খুনাখুনি করে তারা দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ তাদের ফন্দি বুঝে গেছে।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার,রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চ তোপখানা সড়কে মিছিল করে।

এছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য প্রভৃতি দল তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App