৭ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে ভোটারের ভূমিকায়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম
শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়, কালভার্ট রোড ও ফকিরাপুলে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন নেতৃবৃন্দরা। ছবি: ভোরের কাগজ
সূর্যাস্তের পর যেমন অন্ধকার নেমে আসে তেমনি ৭ জানুয়ারির 'ডামি-ডাকাতি, চুরি ও পাতানো নির্বাচনের পর বাংলাদেশের আকাশে আমাবশ্যার অন্ধকার নেমে আসবে বলে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ডামি নির্বাচনের আয়োজক আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, পরিচালক হিসেবে থাকবে শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্র গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে ভোটারের ভূমিকায়। আর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বাকশালি শ্লোগান দিয়ে উৎসব পালন করবে। সুতরাং এই নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়বে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ হারাবে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির বড় বাজার এবং সংকট সৃষ্টি হবে অর্থনীতিতে। এতে করে বাংলাদেশ মহাবিপদের দিকে ধাবিত হবে। তাই ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নয়! শেখ হাসিনার পদত্যাগই এর সমাধান।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়, কালভার্ট রোড ও ফকিরাপুলে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাঁরা পাতানো নির্বাচনের খেলায় সারাদেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই প্রহসন মার্কা নির্বাচনকে প্রতিহত করবে। তিনি দেশবাসীকে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকারের পতনের আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-র সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, বিশ্বসেরা স্বৈরশাসকের অধীনে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি 'ডামি' নির্বাচন হতে চলেছে। তবে নির্বাচন 'ডামি' কিংবা নায়ক-নায়িকা অথবা জুয়াড়ি মার্কায় হোক না কেন! দেশের জনগণ এই জালিম-ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার ঠিকানা আর গণভবনে হবে না। দেশবাসী প্রস্তুত থাকুন।
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা।
উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সারোয়ার আলম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, আবু ইউসুফ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, এলডিপি যুবদলের মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।