×

জাতীয়

বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে নির্বাচনী অঙ্গীকার চায় ডিএসকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে নির্বাচনী অঙ্গীকার চায় ডিএসকে

পরিবেশ রক্ষায় অনেক শক্তিশালী আইন আছে। কিন্তু এসব আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নেই। সম্প্রতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনও পাস করা হয়। তবুও নগরীতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না। পরিবেশ আরো বেশি দূষিত হচ্ছে। ফলে বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ, হৃদরোগ, ডায়রিয়া, এলার্জিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ ও অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে নির্বাচনী অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্তের দাবি তোলে ডিএসকে কনসোর্টিয়াম (দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র কনসোর্টিয়াম, বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস)।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কক্ষে ডিএসকে কনসোর্টিয়াম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এজাজ হোসেন বলেন, বর্জ্য দিয়ে সার উৎপাদন করা যায়। বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জৈব সারে পরিণত করা যায়। পুড়িয়ে বর্জ্য ধ্বংস করা সঠিক পদ্ধতি নয়। দুর্বল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ফলে মিথেন জাতীয় গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধি পেয়ে সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র্যের জন্য চরম বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, কঠিন বর্জ্য সারাদেশের সমস্যা। ৫২ বছরেও এখনো কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়নি। বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী আইন আছে। কিন্তু মানা হয় না। নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অঙ্গীকার আদায় করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এই দূষণের শিকার বয়স্ক ও শিশুরা। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের ক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ, হৃদ্‌রোগ, ডায়রিয়া, এলার্জিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ ও অপুষ্টিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায় যা শিশুদেরকে খর্বাকৃতির ও কৃশকায় করছে। অন্যদিকে গর্ভবতী মায়েরাও মুখোমুখি হচ্ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির যা তাদের গর্ভের শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

তিনি আরো বলেন, আমরা এদেশের উন্নয়নটা একটি অংশের মানুষকে বাদ দিয়ে করতে চাচ্ছি। যারা এমপি হয়, সংসদ সদস্য হয় তারা জনগণের কথা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা ভুলে যায়।

ঢাকা কলিং প্রকল্প প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমন্বিত ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সংবাদ সম্মেলনে ৩টি সুপারিশ তুলে ধরে হয়। এগুলো হলো-

১. সব নগরবাসীর (প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য গোষ্ঠী) সমান সুযোগ ও অধিকার সমুন্নত রেখে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই পয়ঃনিষ্কাশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে।

২. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণ, চলমান অর্থনীতি (সার্কুলার ইকোনমি) প্রবর্তন এবং টেকসই ও মানসম্পন্ন নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪-আর কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হবে।

৩. কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, ডিজিটাল মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App