×

জাতীয়

গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবে মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম

গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবে মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী

গণজাগরণের অ্যাক্রোবেটিক উৎসব-২০২৩। ছবি: ভোরের কাগজ

গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবে মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী
গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবে মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী

বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শিল্প মাধ্যম সার্কাস। সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ/উপাদান অ্যাক্রোবেটিক, শিল্প হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত। সকল ধরনের দর্শকদের প্রিয় এই শিল্পটি বিকশিত করার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ দিনব্যাপী আয়োজিত উৎসবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘গণজাগরণের অ্যাক্রোবেটিক উৎসব-২০২৩। ভ্রাম্যমাণ এ প্রদর্শনীর ৩য় দিনে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, আটিবাজার, মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, রায়েরবাজার, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাজারো দর্শক শিল্পকলার আকর্ষণীয় এই অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা উপভোগ করেন। প্রদর্শনী চলাকালীন পুরো এলাকা নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু দর্শকদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে। অনেকে প্রদর্শনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে।

মনোমুগ্ধকর এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছে তরুণ জুনাইদ ফারদিন জিসান। তিনি বলেন, আগে বুঝিনি এত সুন্দর আয়োজন দেখতে পাব। তাহলে সব বন্ধুদের নিয়ে আসতাম। আমি চাই এই প্রদর্শনী সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেন প্রদর্শিত হয়।

শিল্পকলা একাডেমি জানায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ঢাকার রাজবাড়ীতে অবস্থিত অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়মিতভাবে অ্যাক্রোবেটিক দল প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী করে চলেছে। ১৯৯৪ সালে ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ‘ফাইন এন্ড পারফর্মিং আর্ট প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের প্রশিক্ষণ ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য রাজবাড়ীতে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত প্রকল্পের আওতায় কোরিয়ান বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

২০১১ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে চালু করাসহ বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে দলটিকে পুনরায় উজ্জীবিত করেন এবং এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দলকে প্রশিক্ষিত করতে ২০ জনকে চীন থেকে একবছর মেয়াদে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ২০১১ সাল থেকে সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রদর্শনী ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমাণ অ্যাক্রোবেটিক দল তাদের পরিবেশনা নিয়ে থাকবে মহানগরের বাহাদুর শাহ্ পার্ক, লক্ষ্মীবাজার, শেখ বোরহানুদ্দিন কলেজ, নাজিমুদ্দিন রোড, ইংলিশ রোড মোড়, ধোলাইখাল, বিক্রমপুর প্লাজা, জুরাইন, দোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীতে ৩৬টি স্থানে চলছে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App