×

জাতীয়

আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মদের ভূমিকা রাখতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম

আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মদের ভূমিকা রাখতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি: ভোরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই ঘোষণা কেউ বেতারে পাঠ করেন। এসকল বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধোঁয়াশা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে 'গৌরবদীপ্ত বিজয়' শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের সংবিধানের সমাজতন্ত্র বলতে জাতির পিতা সকলের প্রতি ন্যায্যতা বুঝিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুই সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। রাজনীতিতে কেউ যাতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে- সে বিষয়ে পরিষ্কার ছিলেন। অথচ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ধর্মকেই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্মীয় কোনো বিষয়ই এখানে উল্লেখ নেই।

সাদেকা হালিম বলেন, গ্রামের ওয়াজে নারীদের নিয়ে অশ্লীল বক্তব্য দেয়া হয়। সেখানে অনেক দর্শক উপস্থিত থাকে। কিন্তু কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেই পরিমাণ মানুষ উপস্থিত থাকেনা। কেন এসব দেখতে হবে মুজিবের সৈনিক হিসেবে। সবাইকে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। আমি নিজেও অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্ম নিরপেক্ষ।

তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাই এক হয়ে কাজ করতে পারে। সত্য ইতিহাসকে ধারণ করার মধ্য দিয়ে জবি শিক্ষার্থীদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া জবি ছাত্রদের জন্য কোন হল না থাকায় ছাত্ররা আবাসন সংকটে অমানবিক জীবন-যাপন করে। তাদের কথা ভেবে অন্তত আমরা নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি বলেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন করেছিলেন। যখন জেলসভার এর রুমে বঙ্গবন্ধুকে আনা হলো তখন তিনি বলেন, আমার দাদাদের ছাড়া আমি যাব না। সকল রাজবন্দীসহ আমি বের হব। এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে জগন্নাথ কলেজের একটা বড় সম্পৃক্তা রয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বর্তমান সরকারের অবদান অনেক। এই অবদান যারা বিনষ্ট করে আমরা যেন তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে পারি। লড়াইটা বাইরের ও ভেতরের শত্রুদের বিরুদ্ধে হতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই প্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মের মাঝে বহন করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী বলেন, কোনো সমঝোতার মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়নি। আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পুরো জাতি একাত্মতা ঘোষণা করে দেশ স্বাধীন করে। এদেশকে তরুণদের এগিয়ে নিতে হবে। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলা অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App