×

জাতীয়

যারা হরতাল অবরোধ দিয়েছে, তারাই ট্রেনে আগুন দিয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫ পিএম

যারা হরতাল অবরোধ দিয়েছে, তারাই ট্রেনে আগুন দিয়েছে

ছবি: ভোরের কাগজ

যারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, তারাই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হতাহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল। গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তেজগাঁওয়ে রেলের আগুনকেও আমি হত্যা বলতে চাই।

রেল পুলিশ রয়েছে, তারা ট্রেনের মধ্যে থাকে। এরপরেও রেলে আগুন কীভাবে লাগলো। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। একজনকে আমরা আহত পেয়েছি যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার কাছে যতটুকু জানা গেছে, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। সে দেখেছে সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেয়া হয়েছে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কেউ জানালা দিয়ে কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করে।

ঘটনার সময় ভোর থাকায় অনেকে যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। নিহত নাদিরা আক্তার পপি যার তিন বছরের শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিল। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিল।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মরদেহের পোস্টমর্টেম দরকার হবে না। কারণ প্রত্যক্ষভাবে জানা গেছে তারা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এটি যেহেতু রেলওয়ের বিষয় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় এটির বিষয়ে মামলা হবে।

তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি। বাস-ট্রেনে জ্বালাও পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।

দেশ থেকে এ ধরনের নির্দেশনা নাকি দেশের বাইরে থেকে আসছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

বাকি দুটি মৃতদেহের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় অচিরেই পাওয়া সম্ভব হবে। এরপর নিহতের আত্মীয়ের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App